চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর ও ঝালকাঠিতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আরো ১৯ জনের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলে রাব্বি।গতা ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মৃত্যুবরণ করছে। মৃত ৫ জনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে ২জন আইসিইউতে এবং ৩ জন আইশোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৮ জুন রাধাকান্ত ও ১৪ জুন শাহাবুদ্দিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। এরপর সেখানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে শাহাবুদ্দিন ও সকাল ১০ টায় রাধাকান্ত মারা যান। করোনা উপসর্গে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উৎপল সরকার নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার সালেহ মুহাম্মাদ আলী জানান, রোববার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে উৎপল সরকার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাতেই তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

করোনা উপসর্গে মাদারীপুরের শিবচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে কোর্ট পুলিশের সদস্য মোশারেফ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে কোর্ট পুলিশের ব্যারাকে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।