০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বর্ণিল জীবনের অধিকারী এক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্ণিল এক জীবনের অধিকারী ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাকে নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও অত্যান্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদ।মানবিক গুনাবলির এই রাজনীইতবিদের যেমন ছিল খুরধার লেখুনি তেমনি খেলাধুলায়ও বেশ দখল ছিল তার।৮৮’র বন্যা মোকাবেলাসহ গ্রাম বাংলার উন্নয়নে তার কর্মকান্ড ভুয়সী প্রসংসা কুড়িয়েছে দেশ-বিদেশে। এছাড়াও উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনসহ ঢাকার বেড়ি বাধ নির্মান, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

১৯৩০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বাবা-মা’র চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তবে ভাইদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। বাবা-মা আদর করে পেয়ারা নামে ডাকতেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে।১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন তিনি। এরপরে ভর্তি হন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। লেখা-পড়ার পাশাপাশি মনোযোগ দেন লেখা-লেখিতে। ছিলেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদকও। ১৯৪৮ সালে এরশাদ কারমাইকেল কলেজের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হবার গৌরবও অর্জন করেন।

বাবা মকবুল হোসেন ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী। তাই ইচ্ছে ছিল বাবার মতো বড় আইনজীবী হওয়ার। ১৯৫০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাত্র দুইশ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন এরশাদ। বাবার ওপর চাপ কমাতেই টিউশনিও শুরু করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্রীড়া দলের তিনি ছিলেন কৃতি খেলোয়াড়। ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ফুটবল দলের অধিনায়কও ছিলেন সাবেক এই রাষ্টপতি। ১৯৫২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধেও অংশ নেন। সেনা কর্মকর্তা হিসেবে এরশাদ প্রথম নিয়োগ পান ২ নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ১৯৭৩ সালে ১২ ডিসেম্বর এরশাদ কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর পর্যায়ক্রমে পদন্নতি পেয়ে সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারি করে শাসনকাজ শুরু করেন তিনি। এরপর একটানা ৯ বছর দেশ শাষণ করে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। নির্বাচনে তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হলে তুমুল আন্দোলনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ছয় বছর কারাগারে থাকার পরও দুটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দু’বারই রংপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে সদস্য নির্বাচিত হন এরশাদ। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আসে জাতীয় পার্টি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের বিরোধী দলে নেতা নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

২০১৯ সালের ১৪জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। পরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা থাকলেও রংপুরের স্থানীয় জনতার দাবির মুখে নিজ বাড়ী পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বর্ণিল জীবনের অধিকারী এক রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

আপডেট সময় : ০২:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০

বর্ণিল এক জীবনের অধিকারী ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাকে নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও অত্যান্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবীদ।মানবিক গুনাবলির এই রাজনীইতবিদের যেমন ছিল খুরধার লেখুনি তেমনি খেলাধুলায়ও বেশ দখল ছিল তার।৮৮’র বন্যা মোকাবেলাসহ গ্রাম বাংলার উন্নয়নে তার কর্মকান্ড ভুয়সী প্রসংসা কুড়িয়েছে দেশ-বিদেশে। এছাড়াও উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তনসহ ঢাকার বেড়ি বাধ নির্মান, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

১৯৩০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বাবা-মা’র চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তবে ভাইদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। বাবা-মা আদর করে পেয়ারা নামে ডাকতেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে।১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন তিনি। এরপরে ভর্তি হন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। লেখা-পড়ার পাশাপাশি মনোযোগ দেন লেখা-লেখিতে। ছিলেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদকও। ১৯৪৮ সালে এরশাদ কারমাইকেল কলেজের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হবার গৌরবও অর্জন করেন।

বাবা মকবুল হোসেন ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী। তাই ইচ্ছে ছিল বাবার মতো বড় আইনজীবী হওয়ার। ১৯৫০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাত্র দুইশ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন এরশাদ। বাবার ওপর চাপ কমাতেই টিউশনিও শুরু করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়েরও ক্রীড়া দলের তিনি ছিলেন কৃতি খেলোয়াড়। ১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ফুটবল দলের অধিনায়কও ছিলেন সাবেক এই রাষ্টপতি। ১৯৫২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধেও অংশ নেন। সেনা কর্মকর্তা হিসেবে এরশাদ প্রথম নিয়োগ পান ২ নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ১৯৭৩ সালে ১২ ডিসেম্বর এরশাদ কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর পর্যায়ক্রমে পদন্নতি পেয়ে সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারি করে শাসনকাজ শুরু করেন তিনি। এরপর একটানা ৯ বছর দেশ শাষণ করে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। নির্বাচনে তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হলে তুমুল আন্দোলনে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ছয় বছর কারাগারে থাকার পরও দুটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দু’বারই রংপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে সদস্য নির্বাচিত হন এরশাদ। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আসে জাতীয় পার্টি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের বিরোধী দলে নেতা নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

২০১৯ সালের ১৪জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। পরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফনের কথা থাকলেও রংপুরের স্থানীয় জনতার দাবির মুখে নিজ বাড়ী পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।