বরিশালে রাতের আঁধারে একের পর এক পুকুর ভরাট করে ফেলা হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০১:৫২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
বরিশালে রাতের আঁধারে একের পর এক পুকুর ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। ভরাট করলেই এক লাখ টাকা শতাংশ জমির দাম বেড়ে হয় ১০ থেকে ২০ গুণ। লোভ সামলাতে পারছেনা পুকুর ও জলাধার মালিকরা। গত ১৫ বছরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তিন শতাধিক পুকুর ও জলাধার ভরাট করে বিক্রি করা হয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলন হলেও তা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় টেকেনা বেশি দিন। এতে করে পরিবেশসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ছেন নগরবাসী।
নগরীর ভাটিখানা-আমানতগঞ্জ সংযোগ সড়কের পাশে বিশাল আয়তনের পুকুরটি ওই এলাকার ঐতিহ্য। পুকুরের পূর্ব পাড়ে শেরে বাংলার ফুফুর নামে প্রতিষ্ঠিত ‘আখতারুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ১৯২৫ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় পুকুরের মাটি দিয়ে ভিটি উঁচু করা হয়। এরপর থেকে পুকুরটি স্থানীয়দের গোসল, অজু, কাপড় ধোয়াসহ অগ্নিনির্বাপনের ভরসাস্থল। বহুতল ভবন নির্মানের জন্য গেল ১৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বালু ফেলা শুরু হয় পুকুরটিতে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে স্থানীয়রা। বসানো হয়েছে পাহারাও।
এছাড়া বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে থাকা শতবর্ষী পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে দশতলা ভবন। এভাবে বহু সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে পুকুর-জলাধার ভরাট করে।
সরকারি কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ আরো উৎসাহিত হচ্ছে বলে ক্ষোভ জানায়, নগরবাসী। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পুকুর-জলাধারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন, এ পরিবেশ কর্মী। জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী। পুকুর-জলাধার ভরাট না করে, সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন, জেলা প্রশাসক। নগরে শতাধিক পুকুরের মধ্যে ২০টিরও বেশি ভরাটের সুযোগ খুঁজছে, সংশ্লিষ্টরা।