বন্যার পানি নেমে গেলেও নানা দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা
- আপডেট সময় : ১২:১১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও সাভারে বন্যার পানি নেমে গেলেও নানা দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। দীর্ঘ বন্যার পরবর্তী সময়েও হাতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা দুর্গতদের।
সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ অভ্যান্তরীন সকল নদ নদীতে পানি গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ভাবে কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২২ এবং কাজিপুর পয়েন্টে আরও ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও নানা দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। দীর্ঘ বন্যার পরবর্তী সময়েও হাতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের। বিশেষ করে দিন মজুর শ্রেনীর মানুষেরা পুরোপুরি ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লেও মিলছে না তা। জোটাতে পারছেন না গবাদি পশুর খাদ্যও। বন্যা কবলিত এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।
পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভাঙ্গনে চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের একটি ৩ তলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবন ও ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি।জেলঅর ৭টি উপজেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানি বন্দি রয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি পদ্মা নদীর পানিও পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করাই জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে দুর্গতদের দুর্ভোগ।
ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে।সাভার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ উপজেলার অনেক এলাকার নিম্ম আয়ের মানুষের দুর্ভোগে পড়েছে।