বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা
- আপডেট সময় : ১২:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
বন্যার পানি নেমে গেলেও গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও পাবনায় দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। অনেক এলাকা এখনো পানিবন্দি।
গাজীপুরে তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালি নদীতে ধীর গতিতে কমছে বন্যার পানি। এখনো দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যা কবলিত কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮২টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১১শ মাছের খামার ও পুকুর।
যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। অনেকেই নিজ বাড়ী ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে দীর্ঘ সময়ের বানের পানিতে তলিয়ে থাকায় এবং শ্রোতের কারণে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও হাটবাজারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই বন্যা পরবতী ক্ষতিগ্রস্ত এসব জনপদের সংস্কারসহ পূনর্বাসন জরুরি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে গেলেও সর্বত্রই রয়ে গেছে তচিহ্ন। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দীর্ঘ দেড় মাসের বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষেরা। একদিকে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে অন্যদিকে এ সময়টাতে কোন কাজও জোটাতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজন পড়েছেন চরম খাদ্য সংকটে। বন্যা পরবর্তী এ সময়টাতে মিলছে ত্রাণ সহায়তাও।বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধি।
মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমে ও তীব্র স্রোত চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলা, মাদবরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিন ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমতে থাকায় বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে।এদিকে দ্রুত পানি কমায় হরিরামপুর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর, শিবালয়, দৌলতপুর, ঘিওর উপজেলায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
পাবনায় সকল নদ-নদীর পানি কমে বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়িতে ফিরতে শুরু বন্যায় অন্য জায়গায় আশ্রয় নেয়া মানুষেরা। তবে এখনও বাড়ি ঘর থেকে পুরোপুরি পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসি মানুষ গুলো।
এদিকে, নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।