সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ঢাকার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক। সকালে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। খ্যাতিমান এই প্রবীণ আইনজীবীর ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমেছে আইন ও বিচার অঙ্গনে। তার মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীরা। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেন তারা।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা।

শনিবার সকাল পৌনে এগারোটায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয় রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা। এতে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তার স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

পরে মরদেহ নেওয়া হয় পল্টনের বাসায়। সেখানেও ছুটে আসেন আইন অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর মরদেহ নেয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে । সেখানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতিসহ আইন পেশার অনেকেই।

দীর্ঘদিনের সহকর্মীরাও সেখানে তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে, তুলে ধরেন মূল্যায়ন। তবে দলমত নির্বিশেষে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীরা স্মরণ করেন এক-এগারোতে তার সাহসী ভূমিকার কথা।

জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। বেলা তিনটার কিছু আগে সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।