নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার হয়ে দেড় মাস ধরে হাট-বাজারে যেতে পারছে না সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার হাজিপুরের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। নৌকায় ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে গ্রামের ৫টি বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মোটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। জোর করে নিয়ে গেছে পুকুরের মাছ। নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আইনজীবী, আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত ১০ জন। ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন মামলার পর ৩ জনকে আটক করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না চেয়ারম্যান বাহিনীর তান্ডব।

গেল ১১ই নভেম্বর ২য় দফায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সোনাখাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন বিজয়ী হন।নব-নির্বাচিত এই চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেনের পূর্ব বিরোধ থাকায় নৌকায় ভোট না দেবার অযুহাত তুলে ফল ঘোষনার পরপরই বিজয়ী চেয়ারম্যান রিপনের হুকুমে তার সমর্থকরা রাতের আধারে হাজিপুর গ্রামে সরোয়ার হোসেনের আত্বীয়-স্বজন ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে, নির্বাচনের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও গ্রামটির প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের জনসাধারনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন দাবি করেন, যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা নৌকার বিরোধিতা করেছেন। যার কারনে ভোটের দিন প্রথম দিকে কয়েকটি কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনায় স্বতন্ত্র প্রার্থি এগিয়ে থাকায় তাদের লোকজনদের উপরই হামলা করেছে।

নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের পর ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্বাচনী সহিংসতার শিকার হওয়া জনসাধারনের উপর হামলার ন্যায়-বিচারের পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন এমনটাই দাবি ভুক্তভোগি ও স্থানীয়দের।