নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০বছর বয়সী আলাউদ্দিন নামের এক যুবক। ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে ২৭ জনকে।

মঙ্গলবার রাতে আলাউদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আলাউদ্দিন চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের উপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজন হামলা ও মারধর করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে আবারো প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ। সন্ধ্যায় আয়োজিত তাদের সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে। রাত ৮টার দিকে মেয়র মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সাথে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকারীরা বসুরহাট পৌরসভায় অবস্থান নিলে শুরু হয় গোলাগুলি। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট ও অটোরিকশা । এর আগে এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্থানীয় সাংবাদিক মুজ্জাকির।