নগণ্য ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন। ১৮৭টি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। উৎসবের আমেজ না থাকায় নির্বাচন নিয়ে হতাশ ভোটাররা। এদিকে, কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ভোটের পরিবেশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।

ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন-ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে ঢাকা ৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

শুরু থেকে প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল ভোটার উপস্থিতি শূণ্য। বুথে ছিল না সব প্রার্থীর এজেন্ট।

ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে ছিল আওয়ামীলীগ প্রার্থীর অনুসারীদের ভীড়।

ভোটে উৎসবের আমেজ না থাকলেও ইভিএমে নিজের ভোট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান ভোটাররা।

সকালে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী। এসময় ভোটের পরিবেশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেন বড় দুই দলের প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, এই নির্বাচন দেশের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আর বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিনের অভিযোগ, কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে তাঁর পোলিং এজেন্টদের।

মাতুয়াইলে হাজি মনির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর আবদুস সবুর আসুদ।এসময় নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রে পুলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

ডেমরা সারুলিয়া হাজী মোয়াজ্জেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষন পদ রায় ভোটের পরিবেশ নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেন।

৬ মে আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজী মো. হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হয়ে যায়। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার একশ উনত্রিশ ।