দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে
- আপডেট সময় : ১২:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে এখনও পুরোপুরি পানি নেমে যায়নি। এ অবস্থায় উঁচু এলাকার মানুষজনের কষ্ট কিছুটা কমলেও দুর্ভোগে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা। দীর্ঘ বন্যায় কর্মহীন হয়ে পড়া চরাঞ্চলের মানুষজন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট নিয়েই দিন যাপন করছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২০ এবং কাজিপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদ, শৈলদহ, বাঘিয়ারকুল, ঘাঘর নদী ও এমবিআর চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি স্থাতিশীল থাকলেও প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নতুন করে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ও বৈকুন্ঠপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সকাল ৯টায় মধুমতি নদী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৪ সেন্টিমিটার এবং মধুমতি বিলরুট চ্যানেলে বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র ¯্রােতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে বুধবার সকালে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এর এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১ সেন্টিমিটার কমেছে।
নেত্রকোনায় ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করেছে। নেত্রকোনার খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি করে এখনো বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাবনায় কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। তবে এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি । গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ