দাউদকান্দিতে নদী ড্রেজিংয়ে অনিয়ম, হুমকিতে ফসলি জমি

- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নিয়ম না মেনে নদী ড্রেজিংয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি। অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না, অভিযোগ দুই গ্রামের মানুষের। প্রতিবাদ করায় দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান স্থানীয় প্রশাসন।
গোমতী নদীর মাঝখানে কুমিল্লার দাউদকান্দির নতুন হাসনাবাদ ও চর চারুয়া এলাকায় এভাবেই একেরপর এক মেশিনে ড্রেজিং করা হচ্ছে গোমতী নদী। গ্রাম দুটিতে ৭ শতাধিক পরিবারের বসবাস। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী ড্রেজিংয়ের নামে নষ্ঠ করা হচ্ছে ফসলী জমি। নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে বসত ভিটা। এ নিয়ে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না তাদের। উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
বাংলাদেশ আঞ্চলিক জলপথ পরিবহন প্রকল্পের আওতায় গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি দাউদকান্দির কলেস্টের থেকে বাটেরা, চরকাঠালিয়া নদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং শুরু করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ-এর অধীনে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স বাংলাদেশ। নদীর পাড় থেকে ৫০ ফুট দূরে ড্রেজিংয়ের কথা থাকলেও কোথাও কোথাও মানা হচ্ছে না তা। ফলে নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে ফসলী জমি। প্রতিবাদে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দুই গ্রামের মানুষ।
তবে ড্রেজিংয়ের ফলে ফসলী জমি নষ্টের কথা স্বীকার করেন, নদী খনন কমিটিতে থাকা বিএনপির এই নেতা। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি ৫০ ফুট দুরত্বে নিয়ম মেনে ড্রেজিং কাজ চলছে। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস।
অবৈধভাবে নদী ড্রেজিংয়ে বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।