দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ষাটের দশকের বেড়িবাঁধগুলোর নেই জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলার সক্ষমতা
- আপডেট সময় : ০৭:৩০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জরাজীর্ণ দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ষাটের দশকে নির্মিত এসব বেড়িবাঁধ সংস্কারের অভাবে জানমাল রক্ষায় কোনো কাজেই আসছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হচ্ছে। টেকসই বেড়িবাঁধের পাশাপাশি পলি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মনে করেন, পরিবেশবাদীরা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে গেছে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাঁধের অর্ধেকও অবশিষ্ট নেই। শুধু ঝড়-জলোচ্ছ্বাস নয়, অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারেও এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।
পানি নেমে গেলেও ফের জোয়ারে ডুবছে ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। দুর্গত এলাকার কাঁচা বাড়িঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে গ্রামীণ সড়কগুলো। মানবেতর জীবনযাপন করলেও, ত্রান নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চায় উপকূলবাসী।
সাতক্ষীরা ও খুলনা অংশে আট হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য।
পাঁচ’শ কিলোমিটারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নতুন করে নির্মাণের চেষ্টা চলছে বলে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পরিবেশ কর্মীরা বলছে, টেকসই বেড়িবাঁধের পাশাপাশি পলি ব্যবস্থাপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামতে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সমন্বয়ে কাজ চলছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।
দফায় দফায় বরাদ্দ হলেও, বেড়িবাঁধের যথাযথ সংস্কার না হওয়ায় হতাশ উপকূলবাসী।