করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনাজপুর শহরের কালিতলায় এসএ পরিবহন পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস ২৪ ঘন্টা গ্রাহকদের সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকারের প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্য এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান করোনা সংকটকালে গ্রাহকদের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে লোকসান গুণেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুরের প্রান্তিক চাষী এবং ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে তিন বছর আগের সার্ভিস সার্জ এখনও বহাল রাখা হয়েছে। কুরিয়ারের শ্রমিক-কর্মচারীরা গ্রাহকদের সেবাদানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দিন-রাত প্ররিশ্রম করায় আস্থা বেড়েছে দিনাজপুরবাসীর। আর কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষের সেবাই এই প্রতিষ্ঠানের ধর্ম।

সারাদেশে এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের একশ’টির মতো সার্ভিস ডেলিভারী পয়েণ্টের মধ্যে দিনাজপুর একটি। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের স্বার্থে এই করোনা পরিস্থিতিতেও সেবাদান অব্যাহত রেখেছে। যদিও এজন্য গুণতে হচ্ছে লোকসান। করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনার শতভাগ শর্ত মানতেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে প্রত্যেক গ্রাহক ও যানবাহনগুলো। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও জরুরী ওষুধ-পথ্য, করোনা মোকাবেলার বিভিন্ন সামগ্রী, পিপিই, মাস্ক, অফিস-আদালতের মূল্যবান ডকুমেন্ট এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্সেল দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে এসএ পরিবহনের কর্মীরা। সেই সাথে কৃষকের স্বার্থে পাঠানো হচ্ছে আম, লিচুর মতো মৌসুমী ফল। এই ক্রান্তিকালে এমন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত সেবাগ্রহীতারা মনে করেন, সরকারী প্রণোদনা দেয়া উচিৎ এ প্রতিষ্ঠানটিকে।

করোনা আতঙ্ক থাকলেও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দায়িত্ব এড়ানো সুযোগ নেই মন্তব্য করে কর্মীরা জানালেন, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারের নির্দেশেই সরকার ও জনগণকে সহযোগিতায় সচেষ্ট তারা। করোনা লোকডাউনে চালু রাখতে গিয়ে শুধু দিনাজপুর রুটেই কয়েক লাখ টাকা লোকসান দিতে হয়েছে জানিয়ে ডিজিএম বললেন, প্রান্তিক মানুষের কথা বিবেচনায় রেখেই এখনো বহাল রাখা হয়েছে তিন বছর আগের সার্ভিস চার্জ।মানুষ মানুষের জন্য– এ দর্শনে বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠানটির মহামারীকালের এমন সাহসী ভূমিকাকে প্রণোদনা প্রাপ্তির হকদার বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন সেবাগ্রহীতারা।