০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীর দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মি ঠিকাদার ও গ্রাহকরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীর দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও গ্রাহকরা। নিয়ম মেনে টেন্ডার পাওয়ার পরও কাজ শুরু করতে গেলে কর্মকর্তাদের দিতে হবে গাড়ি ও মোবাইল ফোন, এমনকি মোবাইল বিলও। লাইসেন্স বাতিলের ভয়ে ক্যামেরায় কথা না বললেও তাদের কাছ থেকে উঠে এসেছে জালালাবাদের এমন সব বিস্ময়কর দুর্নীতির খবর। আর এসবের পেছনের অন্যতম কারিগরদের জালালাবাদ গ্যাসের মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন। সিলেট থেকে আবু বকর আল আমিনের দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দেখুন দ্বিতীয় পর্ব।

জালালাবাদ গ্যাসের পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন। নানা দূর্নীতির কারনে গ্যাস ভবনে এই দাপুটে কর্মকর্তা আলোচনায় আসেন ২০১২ সালের একটি টেন্ডারের কারনে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর ১৮ কিলোমিটার ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন টানার জন্য একটি টেন্ডার প্রকাশ করে জালালাবাদ গ্যাস। যে প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ছিলেন এই কর্মকর্তা। কোন রকম রাখডাক না রেখেই টেন্ডার শিডিউলেই উল্লেখ করে দেন উৎকোচের গাড়ি, মোবাইল ও মোবাইল বিলের কথা। তবে এ ব্যপারে তখনকার প্রশাসন নীরব ছিলো। এ বিষয় জানতে তাকে কয়েকদিন ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হওয়ার পর বেড়ে যায় তার স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির গতি।

জালালাবাদ গ্যাসের সবকিছুর হর্তাকর্তা এখন তিনি।তার দৌরাত্ম্যে অনেক ঠিকাদার বাধ্য হয়েছেন ঠিকাদারি ছেড়ে দিতে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন, শামছুল আলম এবং লিটন নন্দির সাথে অনৈতিক চুক্তির সবকিছু ঠিক থাকলে আর নীতিমালার প্রয়োজন হয় না, লাগেনা আহামরি কোনো কাগজও। আর তাদের সাথে চুক্তি নাহলে ফাইল তার টেবিলেই আটকে থাকে বছরের পর বছর। যদি কখনো ফাইল ছাড়েও তবে এমন সব তথ্য দাখিলের কথা বলা হয় যা গ্রাহকের পক্ষে আলাদা করে তার সাথে চুক্তি ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।

এসব কর্মকর্তাদের দূর্নীতির নানা অভিযোগ পেলেও অজানা কারণে নীরব ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। জালালাবাদের বর্তমান ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তার মন্তব্য জনার জন্য কয়েকদফা অফিসে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে কথা বলেননি তিনি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীর দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মি ঠিকাদার ও গ্রাহকরা

আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীর দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও গ্রাহকরা। নিয়ম মেনে টেন্ডার পাওয়ার পরও কাজ শুরু করতে গেলে কর্মকর্তাদের দিতে হবে গাড়ি ও মোবাইল ফোন, এমনকি মোবাইল বিলও। লাইসেন্স বাতিলের ভয়ে ক্যামেরায় কথা না বললেও তাদের কাছ থেকে উঠে এসেছে জালালাবাদের এমন সব বিস্ময়কর দুর্নীতির খবর। আর এসবের পেছনের অন্যতম কারিগরদের জালালাবাদ গ্যাসের মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন। সিলেট থেকে আবু বকর আল আমিনের দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দেখুন দ্বিতীয় পর্ব।

জালালাবাদ গ্যাসের পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন। নানা দূর্নীতির কারনে গ্যাস ভবনে এই দাপুটে কর্মকর্তা আলোচনায় আসেন ২০১২ সালের একটি টেন্ডারের কারনে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর ১৮ কিলোমিটার ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন টানার জন্য একটি টেন্ডার প্রকাশ করে জালালাবাদ গ্যাস। যে প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক ছিলেন এই কর্মকর্তা। কোন রকম রাখডাক না রেখেই টেন্ডার শিডিউলেই উল্লেখ করে দেন উৎকোচের গাড়ি, মোবাইল ও মোবাইল বিলের কথা। তবে এ ব্যপারে তখনকার প্রশাসন নীরব ছিলো। এ বিষয় জানতে তাকে কয়েকদিন ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হওয়ার পর বেড়ে যায় তার স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির গতি।

জালালাবাদ গ্যাসের সবকিছুর হর্তাকর্তা এখন তিনি।তার দৌরাত্ম্যে অনেক ঠিকাদার বাধ্য হয়েছেন ঠিকাদারি ছেড়ে দিতে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন, শামছুল আলম এবং লিটন নন্দির সাথে অনৈতিক চুক্তির সবকিছু ঠিক থাকলে আর নীতিমালার প্রয়োজন হয় না, লাগেনা আহামরি কোনো কাগজও। আর তাদের সাথে চুক্তি নাহলে ফাইল তার টেবিলেই আটকে থাকে বছরের পর বছর। যদি কখনো ফাইল ছাড়েও তবে এমন সব তথ্য দাখিলের কথা বলা হয় যা গ্রাহকের পক্ষে আলাদা করে তার সাথে চুক্তি ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।

এসব কর্মকর্তাদের দূর্নীতির নানা অভিযোগ পেলেও অজানা কারণে নীরব ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। জালালাবাদের বর্তমান ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তার মন্তব্য জনার জন্য কয়েকদফা অফিসে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে কথা বলেননি তিনি।