ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে সাতক্ষীরার অধিকাংশ আমচাষী এখন সর্বস্বান্ত। প্রায় নব্বই ভাগ পরিপক্ক আমই ঝড়ে পড়ে গেছে। যে আম ৬০/৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ার কথা, তা ১০ টাকা কেজিতেও বেচতে পারেনি বাগান মালিকরা। যদিও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৬৫ কোটি টাকার ক্ষতির উল্লেখ করে প্রণোদনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে আম বাগান মালিকদের।

চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় আমের বাম্পার ফলন হলেও ঘূর্ণঝড় আম্পানের তান্ডবে ঝড়ে গেছে ২ হাজার ৩৭ হেক্টর জমির আম। যার পরিমান ১৬ হাজার মেট্রিক টন। ফলে আর্থিক ভাবে আম চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় একশ’ কোটি টাকার। এসব আম বাগানে কর্মরত ১৩ হাজারের অধিক শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করে ফলন্ত আম গাছ গুলো পরিচর্যা করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি ঘূর্ণীঝড় আম্পানের হাত থেকে।

প্রশাসনের নির্দেশ মত ৩১ মে থেকে আম বাজারজাত করার অপেক্ষায় ছিলো সাতক্ষীরা আম চাষীরা। কিন্তু তার আগেই ঘূর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে ফলন্ত আম গাছ গুলা দুমড়ে মুছড়ে হয়ে যায় একাকার। এতে ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালী আম কোথাও ৮০ ভাগ কোথাও ৯০ ভাগ ঝরে পড়ে। সর্বশান্ত এসব আম চাষীরা খরচ তোলা তো দুরের কথা কর্মচারীদের বেতন দিতেই অপারগ। তার উপর ব্যাংকের ঋনের টাকায় দাদন নেয়া বাগান মালিকরা কিভাবে ঘুরে দাড়াবে সে চিন্তায় দিশেহারা।

৪৭ হাজার আম বাগান মালিকের ৬৫ কোটি টাকার আম নষ্ট হয়েছে-তাদের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এই কৃষিবিদ।

উৎপাদিত আমের ৮০ ভাগ আম ঘূর্নিঝড় আম্পানে নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন-তাদের তালিকা করে সরকারে কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে সাতক্ষীরায় এবার ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ২৯৯টি আম বাগানে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়।