কিছু এলাকার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি
- আপডেট সময় : ০১:৪০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
- / ১৫০১ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও নেত্রকোনার কিছু এলাকার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপরে। ফলে বানভাসীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করলেও আবারো বেড়েছে ধরলা ও তিস্তার পানি। গত ১২ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে আছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
গত দু’দিন ধরে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। পানি কিছুটা কমলেও টানা ৮ দিন ধরে বিপদসীমার ওপর দিয়েই বইছে যমুনা নদী। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সিরাজগঞ্জে যমুনা অববাহিকার পাঁচটি উপজেলা- সদর,কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের বানভাসি পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ।
নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক গ্রামের ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গ্রামের কাচা ও পাকা সড়কগুলো এখনও পানির নিচে থাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
উজানে যমুনার নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাটি অঞ্চলে ব্রক্ষ্মপূত্র ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমে আজ সকালে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গাইবান্ধায় টানা বর্ষণ আর ভারতীয় ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়ে ব্রহ্মপুত্র এখনো বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ও ঘাঘট নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি হ্রাস পেয়ে গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সকালে সুন্দরগঞ্জে কাপাসিয়া ইউনিয়নে ২ হাজার বন্যা কবলিত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী করেছেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।