করোনার দীর্ঘ ছুটিতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, দেশ গড়ার কারিগর শিক্ষকরাও ভুগছেন মানসিক কষ্টে । গৃহবন্দি অবস্থায় বিনোদনে প্রযুক্তির নির্ভরতা, শিশুদের মাঝে তৈরী করছে ডিজিটাল আসক্তি, যা তাদের মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিস্থিতি উত্তোরণে অভিবাবকদের উচিত শিশুদের বেশী করে সময় দেয়ার পাশাপাশি তাদের ইনডোর গেমসে উদ্বুদ্ধ করা।

ক্লাসের রোল কল…খুশীতে মন ভরিয়ে দেয়া ছুটির ঘন্টা ও দল বেধে বেরিয়ে আসা এরপর বন্ধুদের সাথে স্কুল মাঠে খেলাধুলা, এসবই আজ শুধুই স্মৃতি। করোনায় গেল একবছরের বেশী সময় এসব সুখ স্মৃতি থেকে বঞ্চিত আমাদের শিশুরা। আর তাইতো উদাস নয়নে হারিয়ে যাওয়া সেইসব দিনগুলির কথাই যেন ভাবছে মনিপুর স্কুলের দশম শ্র্র্রেণীর শিক্ষার্থী ইফতি।

৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফাহিম। ব্যস্ত অনলাইন ক্লাস নিয়ে। ক্লাস শেষে গৃহবন্দী শিশুগুলো ভার্চুয়াল জগতকেই নিজেদের বন্ধু হিসেবে নেয়। অনলাইনে চলে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগও। স্কুল পড়ুয়া কিংবা তার চেয়ে ছোট, সবাই আজ ভার্চুয়াল জগতের উপর নির্ভরশীল। আবার ঘরের ভিতরেই যতটুকু পারছেন শিশুদের সময় দিচ্ছেন অভিভাবকরা। তবে সুরক্ষাকেই সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থী বিহীন শূন্য স্কুল নিয়ে মানসিক কষ্টে আছেন শিক্ষকরাও। অনলাইন শিক্ষা কখনো ক্লাসরুমের শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না বলেও মত দেন তিনি। করোনার কারণে তৈরী হওয়া এই দীর্ঘ বন্ধিত্ব শিক্ষার্থীদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন মনরোগ বিশেষজ্ঞরা।