অভিবাসন ও মানবপাচার আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ বায়রার
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
করোনাকালেও থেমে নেই প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স। তাদের পাঠানো অর্থে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়লেও এখন নতুন সংকটে পড়েছেন বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিকরা। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন- বায়রা বলছে, অভিবাসন আইন অনুসরণ না করে ঢালাওভাবে মানবপাচারের মামলা করায় এই খাতটি এখন হুমকির মুখে। এতে কমছে বিদেশে কর্মী পাঠানো। তবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের মতে, দুই আইনের ফাঁকে কিছু জটিলতা থাকায় এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা নিরসনে কাজ করছে বলেও জানান ইমরান আহমেদ।
করোনাসহ নানা সংকটে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চ্যালেঞ্জে পড়লেও কমেনি রেমিট্যান্স। প্রবাসী কর্মীরা চাঙ্গা রাখছে অর্থনীতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১৬৮টি দেশ থেকে প্রবাসী কর্মীরা ৬৭১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। অর্থনীতিবিদরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়লেও প্রবাসীদের অর্থে এখনও রিজার্ভে উদ্বৃত্ত বাংলাদেশ।
তবে, মানবপাচার আইন ও অভিবাসন আইনের সাংঘর্ষিকতার কারণে প্রায়ই হেনস্থার শিকার হচ্ছেন জনশক্তি প্রেরণকারীরা। বায়রা নেতারা বলছেন, সরকারী নিয়ম-কানুন মেনে প্রায় সোয়া কোটি মানুষের বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলেও এখন প্রবাসী কর্মী সংক্রান্ত বিষয়ে মানবপাচারের ধারা সংযুক্ত করায় উদ্বিগ্ন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীরা জানান, দুটি আইন দু’ ধরনের হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অজ্ঞতার কারণেই বাড়ছে জটিলতা।
অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, তারা অবৈধ অভিবাসনের সাথে জড়িত দালালদের খুঁজলেও অনেক সময় সঠিক তথ্য পান না।অভিবাসন আইন-২০১৩ ও মানবপাচার আইন-২০১২’র মধ্যে কিছু সাংঘর্ষিক বিষয় থাকার কথা স্বীকার করে জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটি আইনই প্রতারণা থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানকে শক্তিশালী করবে- যদি তা হয়রানীর উদ্দেশ্যে না হয়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।