মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নের ছোট বড় মিলে প্রায় অর্ধ শতাধিক কারখারনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ছানা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাজার থেকে দুধ কিনে বিশেষ মেশিন দিয়ে ক্রীম উঠিয়ে ভেজাল ঘি বানানো হচ্ছে। পরে ক্রীম উঠানো দুধ দিয়ে নোংরা, টয়লেট ঘেষা পানিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ছানা তৈরি করছেন কারিগররা। পরে এসব ছানা ঢাকার অভিজাত মিষ্টির দোকানে চড়া দামে বিক্রি করছেন কারখানার মলিকরা।
সরেজমিনে দড়গ্রাম ইউনিয়নের, গোপাল ঘোষের কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছানা তৈরি হচ্ছে। দুধ থেকে বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে ঘি তৈরির ক্রীম বের করছেন কারিগররা। পরে ঐ বাকী দুধের সাথে ক্যামিকেল মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দেয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর সেই দুধ ভেজাল ছানায় পরিনত হয়। গরুর ঘোয়াল ঘর ও টয়লেট ঘেরা পচা এবং দুর্গন্দ পানিতে তৈরী করা হচ্ছে এইসব ছানা। পরে এসব ভেজাল ছানা থেকে রকমারী মিষ্টি বানিয়ে বিক্রি করছেন দোকানীরা।
ভেজাল ছানা তৈরীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারাখানার মালিক।
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বাজার জাতের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার ওপর জোর দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।