পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বাধার মুখে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলায়-জেলায় বিএনপির সমাবেশ। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে গেছে কর্মসুচি। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ কর্মসুচি করে আসছে দলটি। সমাবেশে নেতারা বলেন, দাবি মেনে না নিলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে জেলায় জেলায় সমাবেশ করে দলটি। শেষ দিনে ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় সমাবেশ করে তারা।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় আন্দোলনের ঘোষণা আসবে বলে জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সরকারের কাছে আর কোন দাবি নেই উল্লেখ করে, দলের নেতাকর্মীদের কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়।

সিরাজগঞ্জে সমাবেশের আয়োজন করা হয় জেলার ইসলামীয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে। সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে।দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।

এতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জেলায়-জেলায় বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল।

দলের মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা স্কুল মাঠের সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তিনি আবারও বলেন, সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইনি কোন বাধা নেই ।

কিশোরগঞ্জের আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলনের মাধ্যম সরকারের পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ব্যানার জব্দ করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয় পুলিশ।