মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলছে চা শ্রমিকদের দশম দিনের কর্মবিরতি

- আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
দুই দফা বৈঠকের পরও দাবি না মানায় কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা। কর্মবিরতি চলাকালে কাজে যোগ দেননি সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা।
সকালে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। সুরমা ভ্যালির চা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, বৈঠকে দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকার প্রস্তাব দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে, প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রমিকরা। আগামী ২৩ আগস্ট পুনরায় শ্রম অধিদপ্তরের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা। সে পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন শ্রমিক নেতারা।
ঢাকায় মালিকদের সাথে শ্রমিকদের বৈঠকে সমোঝতা না হওয়ায় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে মজুরী বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে সকাল থেকে মিছিল সমাবেশ করছেন। চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানিয়েছেন, ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরের শ্রমভবনে মালিকদের সাথে তারা গতকাল বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৩শ টাকাসহ তাদের অন্যান্য দাবী না মানায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বুধবার গভীর রাতে দ্বিতীয় দিনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে। রাজধানীর শ্রম ভবনে, শ্রম অধিদফতর, চা বাগান মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ও আন্দোলন একইসঙ্গে চলবে বলে জানান তারা।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দশ দিন ধরে কর্মবিরতিতে আছে দেশের চা শ্রমিকরা। ফলে ভরা মৌসুমে নষ্ট হচ্ছে চা পাতা। কিন্তু, দাবি মানা না হলে কাজে না ফেরার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চা শ্রমিকরা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীতে শ্রম অধিদফতর, চা বাগান মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তা সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবারও শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক বসে। রাত ১১টার দিকে বৈঠক শেষে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী জানান, আরও আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক হলেও নিজেরা লোকসানে আছে বলে দাবি করে মালিকপক্ষ। আর তাদের প্রস্তাবিত মজুরি মানতে নারাজ শ্রমিক পক্ষ।
বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করবেন নেতারা। তবে, কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার আবারও বৈঠক হতে পারে। দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে মজুরি বাড়াতে মালিকপক্ষকে বলে আসছেন তারা। দুই বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধির নিয়ম রয়েছে।