দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে শুল্ক প্রত্যাহারকেই শেষ অস্ত্র ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
- আপডেট সময় : ০৭:০০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
পেঁয়াজ-তেল-চিনিসহ বেশ ক’টি আমদানী পণ্যের শুল্ক কমাতে এনবিআরের প্রতি অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। যদিও অতীতে বহুবার এ ধরনের শুল্ক কমানোর সুফল ব্যবসায়ী ছাড়া ভোক্তারা কখনোই পায়নি। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পণ্যমূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, খোলাবাজারে ৩০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি।
হঠাৎ করে দেশের বাজারে পেঁয়াজ, চিনি ও ভোজ্য তেলের মূল্যের উর্ধ্বগতিতে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এমন বাস্তবতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনবিআর, টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বাণিজ্য সচিব জানান, গত ক’বছর ধরেই বর্ষাশেষে এবং নতুন মৌসুম শুরুর আগে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। আগামী নভেম্বরের শেষদিকে নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
সচিব আরো জানান, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল এবং চিনি আমদানীতে স্বল্প সময়ের জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৈঠকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে এখনো যে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে, তাতে আমদানী ছাড়াই আরো আড়াই থেকে তিন মাস চলা যাবে।
কেউ যাতে পেঁয়াজের অবৈধ মজুত করতে না পারে, সেটি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
























