জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে ৩৫ শতাংশ মাশুল বাড়িয়েছে অফডক কর্তৃপক্ষ

- আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে ৩৫ শতাংশ মাশুল বাড়িয়েছে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ। ১২ আগস্ট মুল্য বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিলেও তা ৬ আগস্ট থেকেই বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডা। তবে একতরফা মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। বর্ধিত মাশুল অব্যহত থাকলে, নিত্য পণ্যের বাজারে আরেক দফা অস্থিরতা তৈরী হবে বলে দাবি তাদের।
চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৩৭ ক্যাটাগরির আমদানি পণ্য আর রপ্তানীর ক্ষেত্রে শতভাগ হ্যান্ডলিং হয় বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডকের মাধ্যমে। যা পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।এতে যে কোনো ধরণের মাশুল বাড়াতে নির্ধারিত কমিটির অনুমদোন নেয়ার কথা।
কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে হঠাৎ করেই এক লাফে ৩৫ শতাংশ মাশুল বাড়ায় প্রতিষ্ঠানটি।
আমদানিকারকদের পক্ষে অফডকের মাশুল পরিশোধ করে সিএন্ডএফ আর রপ্তানীকারকের পক্ষে শিপিং এজেন্ট। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের দাবি, বর্ধিত মাশুলের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েবে দেশের বাজারে।
শিপিং এজেন্টরা বলছেন, একতরফা মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে অফডক। বন্দর ও কাস্টমস সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সহনীয় মাশুল নির্ধারণ না করলে, আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের ভাবমর্তি নষ্ট হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সহায়ক প্রতিষ্ঠান ১৯ টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো। জাহাজ হ্যান্ডলিং ছাড়াও দুটি প্রতিষ্ঠানের কাজ অভিন্ন। বন্দরের মাশুল না বাড়লেও দুই বছরে তিন দফায় ৬০ শতাংশ মাশুল বাড়ালো অফডক।