একাত্তরের এই দিনে ‘এক পাকিস্তান আর থাকবে না’ বলে হুশিয়ারি দেন ভাসানী

- আপডেট সময় : ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
৯ মার্চ ১৯৭১। দু’দিন আগে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চের এই ভাষণের পর বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। পূর্ব বাংলার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে।
একে একে সরকারি, আধা-সরকারি, বে-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। সভা-সমাবেশ ও বিবৃতিতের মাধ্যম সংগঠনের নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত সকল কর্মসূচি ও সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
এদিনেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের অষ্টম দিনের মতো সারা বাংলায় হরতাল পালিত হয়। যানবাহন, জরুরি সার্ভিস ও ব্যাংক ছাড়া হাইকোর্ট, জজ কোর্ট, আধা সরকারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ঘরে ঘরে কালো পতাকা উড়তে দেখা যায়। যানবাহন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। স্টেট ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশের বাইরে অর্থ পাঠানো বন্ধ রাখে। দেশের সর্বত্র মিছিল-মিটিং অব্যাহত থাকে।
এদিকে পল্টন ময়দানে বিশাল সমাবেশে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বঙ্গবন্ধুর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের মতোই শেখ মুজিবের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করা হবে । ইয়াহিয়া খানের উদ্দেশে ভাসানী বলেন, যদি পশ্চিম পাকিস্তানের পাঁচ কোটি মানুষের জন্য দরদ থাকে তাহলে পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা করো। এতে দুই পাকিস্তানে ভালবাসা থাকবে, বন্ধুত্ব থাকবে। কিন্তু এক পাকিস্তান আর থাকবে না বলেও হুশিয়ারি দেন ভাসানী।