কুড়িগ্রামের সাড়ে ৩শ’ চরেই নেই চিকিৎসা সেবার ন্যূনতম সুবিধা
- আপডেট সময় : ০৪:৪২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামে নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে ৪ শতাধিক চরের মধ্যে সাড়ে ৩শ’ চরেই নেই ন্যূনতম চিকিৎসা সেবার সুবিধা। চরবাসীদের অভিযোগ, কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাটুকুও পান না তারা। মানুষজনকে নদীপথে দীর্ঘ ভোগান্তির পর পৌঁছাতে হয় উপজেলা বা জেলা শহরের হাসপাতালে। এদিকে, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরাঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্টসাধ্য বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার একটি চরের নাম কালির আলগা। ৪ বছর আগে জেগে ওঠা এই চরে ৪’শ পরিবারের বসবাস করলেও এখানে নেই কোন কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্য সেবার কোন প্রকার সুবিধা। একই চিত্র জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার বালাডোবা, মুসারচর, আটাশির চর, মাঝিয়ালির চর, মসলার চরসহ ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের অববাহিকার বেশির ভাগ চরাঞ্চলের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চরের কোন মানুষ গুরুত্বর অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে ভাড়ে করে দীর্ঘ বালু চর পার হয়ে নদীর ঘাটে যেতে হয়। এরপর নৌকায় দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় জেলা বা উপজেলা শহরের নিকটবর্তী কোন ঘাটে।
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে চরাঞ্চলের গর্ভবতী নারীসহ হঠাৎ অসুস্থ হওয়া জটিল রোগীরা। এ কারনে চর মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চরবাসীর স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি চর উন্নয়ন কমিটির। এদিকে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সেবা দেয়াটা চ্যালেন্জ হলেও বিভিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের অববাহিকার সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চলে বসবাস করছে প্রায় ৫ রক্ষাধিক মানুষ। আর জেলায় ২৯৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে চরাঞ্চলে রয়েছে ৮৪ টি ক্লিনিক।



















