শাহজালাল বিমানবন্দরে ফুটে উঠছে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

- আপডেট সময় : ০৬:০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পর বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ উঠানামা এখন স্বাভাবিক। আগুন নেভানোর পর ধীরে-ধীরে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিভিল এভিয়েশনের অবহেলা ও কাস্টমসের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের অনৈতিকতায় পণ্য খালাসের দীঘসূত্রিতার অভিযোগ করেন তারা। যার ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য কার্গো ভিলেজে আটকা ছিলো। আগুনে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেক আমদানীকারক।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের চিত্র এটি। যেখানে দেশের বাইরের থেকে আসা সকল আমদানী করা পণ্য স্তুপে পরিণত হয়ে থাকতো। শনিবার আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। রোববার তারই ধ্বংসাবশেষ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে এই আমদানী কার্গো ভিলেজ।
কার্গো ভিলেজের সামনে দেখা যায় ভিতরের আগুনে ধোঁয়া এখনো বের হচ্ছে। তা নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে পণ্যের খোঁজে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্য নিয়ে তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ।
এসএ পরিবহনের প্রবাসীদের পাঠানো ৩৬টি মূল্যবান পার্সেল কার্গোভিলেজে আটকা ছিলো। আগুনে সেগুলোও শেষ হয়ে গেছে।
সি.এন্ড.এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে প্রথমে বাঁধা দেয়া হয়। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পন্য খালাসের জটিলতার কারণে আগুনে ক্ষতি পরিমাণ বেড়েছে।
এটি পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড কিনা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, পণ্য খালাসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসণ করা না গেলে দেশের আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসস্তুপ পরিদর্শন করে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং কারও দোষ খুজে পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।