ঝিনাইদহে কোনভাবেই কাটছে না সারের সংকট

- আপডেট সময় : ০১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহে কোনভাবেই কাটছে না সারের সংকট। কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। জেল-জরিমানা করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না কারসাজি।
কৃষকরা বলছে, এভাবে চলতে থাকলে ব্যাহত হবে আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন। কৃষি বিভাগ বলছে, সারের অবৈধ মজুদ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হলবাজার। এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সারের জন্য লম্বা লাইন জমে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মেলে না সার।
তার উপর সার নিতে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় নানা কোম্পানীর কীটনাশক। শুধু হরিণাকুন্ডুই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সারের তীব্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০ টাকার ইউরিয়া নেয়া হচ্ছে ২২ থেকে ২৪ টাকা।
আর পটাশ যেন সোনার হরিণ।কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সার মজুদ করে বাড়তি দাম নিচ্ছে। অবিলম্বে অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারের কোন সংকট নেই। জোর করে কৃষকদের কীটনাশক কিনতেও বাধ্য করা হচ্ছে না।
পটাশ সারের সংকট দ্রুত কেটে যাবে দাবী করে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সাথে প্রতারণা আর সারের অবৈধ মজুদ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ি, ৬ উপজেলায় ৬৩১ জন ডিলার ও সাব ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সার সরবরাহ করা হয়। অনিয়ম, অবৈধ মজুদ আর বাড়তি দাম নেয়ায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।