সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই মারা যাচ্ছেন অনেক রোগী
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই মারা যাচ্ছেন অনেক রোগী। চিকিৎসার সুযোগও পাচ্ছেন না তারা। অনেকে আবার জরুরি বিভাগে ভর্তির পর ওয়ার্ডে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুবরণ করছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমছে না মৃতের সংখ্যা। এদিকে, করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী অনেক চিকিৎসকই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ব্যবহার না জানায় জীবন বিপন্ন হচ্ছে রোগীদের।
অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজে মা বাইরে ছুটোছুটি করছেন। আর হাসপাতালের বারান্দায় বাবার মরদেহ আগলে বসে আছে সাত বছরের শিশুকন্যা। স্ট্রেচারে রাখা বাবার নিথর দেহ। বাবাকে বাতাস করার জন্য হাতপাখাটিও আনতে ভুলে নি সে। কিন্তু বাবা আর নেই! সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর সাপাহার থেকে সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তির আগেই মারা যায় তিনি।
সপ্তাহ খানেক সর্দিজ্বরে ভোগার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় নওগাঁর ধামইরহাটের গোলাম মোস্তফাকে।কিন্তু ভর্তির পর ওয়ার্ডে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসার পর চিকিৎসার আগেই পরপারে পাড়ি জমান ঈশ্বরদী থেকে আসা আরেক নারী।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরকম কত মৃত্যু আর মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ তার হিসেব নেই! চিকিৎসকরা বলছেন, সর্দিজ্বর ভেবে যারা চিকিৎসায় অবহেলা করছেন, সর্বনাশ হচ্ছে তাদেরই।
এদিকে, করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা মুমূর্ষু রোগীদের প্রাণ রক্ষায় ব্যবহার করা হয়, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। কিন্তু অনেক চিকিৎসকই এর ব্যবহার জানেন না। এমন কি- করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বপালনকারী বেশির ভাগ নার্সই আগে কখনো দেখেন নি এই মেশিন।
রামেক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৪৮৯জন রোগী। আর হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা আছে ৭৪টি। গেল ৫দিনেই এ হাসপাতালে মারা গেছে ১০১জন।



























