৫০ বছরেও মাগুরায় শহীদ বুদ্ধিজীবি ড. এম. মনিরুজ্জামানের কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই
- আপডেট সময় : ০৬:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫মার্চ কালোরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের কৃতি সন্তান ড. এম. মনিরুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিসংখ্যান বিভাগের এই চেয়ারম্যানসহ তার ছোট ভাই এ্যাডভোকেট নবাব মিয়া, ছেলে আকরামুজ্জামান ও ভাগ্নে মঞ্জুর হোসেনকেও এসংগে গুলি করে হত্যা করে পাক বাহিনী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এই মহান মানুষটির স্মৃতির উদ্দেশ্যে তার পৈত্রিক ভিটায় এমনকি নিজ উপজেলায়ও নেই কোন স্মৃতি চিহ্ন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী যখন ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় । মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সেই হত্যাযজ্ঞের শিকার হন মাগুরার কৃতি সন্তান আবু নাসির মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামানসহ তার পরিবারের ৪সদস্য । পাঠ্য বইয়ের পাতায় এই শহীদ সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য থাকলেও মাগুরার এই কৃতি সন্তানকে মনে রাখেনি এলাকার কেউই। নিজ গ্রামে নেই তার কোন স্মৃতিচিহ্নও।শহীদ মনিরুজ্জামানের পৈত্রিক ভিটাটি এখনও ফাঁকাই পড়ে আছে। এলাকার প্রবীন মানুষদের মনে এখনও জ্বল জ্বল করছে গ্রামের এ সদালাপী কৃতি সন্তানের স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধের এ শহীদকে আজও স্মরণ করেন এলাকার প্রবীণরা। আর নবীন প্রজন্ম চায় মানুষটির নামে নিজ এলাকায় দৃশ্যমান কিছু করা হোক।
মহান স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী এই শিক্ষাবিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতি সংরক্ষণ জরুরী বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষকরা। আর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
নিজেদের কৃর্তীমান পূর্বসূরীদের স্মরণের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম দেশের সেরা কৃর্তীমান মানুষদের নতুনকরে আবিস্কার করবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।