৪৮ বছরেও লাভের মুখ দেখেনি বিমান
- আপডেট সময় : ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন এবং সম্ভাবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ৪৮ বছরে লাভের মুখ দেখেনি বিমান। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও লোকসানের পাল্লা দিন দিন ভারী হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দেশের একমাত্র পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি বিমান বাহিনীর একটি ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে। বর্তমানে এর বহরে আছে ২১টি বিমান। একে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিমানবাহিনীর একটি ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে আকাশে ডানা মেলে সংস্থাটি। ৪ মার্চ ১৭৯ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে ঢাকায় নামে বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট । ২০০৭ সালে বিমান পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৮ সালে নতুন প্রজন্মের ১০টি এয়ারক্রাফটের জন্য বোয়িং এয়ারক্রাফট কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসে বিমান। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি । এর মধ্যে ১৬ টি নিজস্ব এবং ৫টি লীজ। নিজস্ব ১৪টির মধ্যে বোয়িং৭৭৭-৩০০ ইআর ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৮ ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ২টি, বোয়িং ৭৩৭ ২টি এবং ড্যাশ-৮ ৪টি। আইএটিএ সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ শহরের যোগাযোগ ও অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কের ৭টি গন্তব্যে প্রতিদিন আকাশে উড়ে বিমান।
উড়োজাহাজ বহর ও গন্তব্য বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও দুর্নীতি আর অদক্ষতার জন্য বিমান বার বার পিছিয়ে পড়ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।বিমানকে বাঁচাতে বোর্ড সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।পশ্চিমে নিউইয়র্ক শহর থেকে পূর্বে টোকিও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৯টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ বিমান।