৪০ ফিট হাইকিউব কন্টেইনারের তীব্র সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানীমুখী শিল্প
- আপডেট সময় : ০২:১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
৪০ ফিট ও ৪০ ফিট হাইকিউব কন্টেইনারের তীব্র সংকট শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এতে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানীমুখী শিল্প। অফডক মালিকরা বলছেন, কন্টেইনার সংকটের কারণে অনেকে তাদের শিপিং লাইন্স পর্যন্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর শিপিং এজেন্টরা বলছেন, করোনার কারণে খরচ কমাতে গিয়ে বড় বড় ফিডার ভ্যাসেলগুলো আসছে না বাংলাদেশে। এতে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর বন্দরের কন্টেইনার জটের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
তৈরীপোষাকসহ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীমুখি অন্তত ৮০ ভাগ পণ্যের গন্তব্য ইউরোপ, আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে। যেখানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ৪০ ফিট ও ৪০ ফিট হাইকিউব নামের বড় কন্টেইনারের। বিপরীতে পরিবহণ সুবিধার জন্য আমদানীতে বাংলাদেশের চাহিদা ২০ ফিটের ছোট কন্টেইনার। তাই রপ্তানীমুখি কন্টেইনারের সংকট পুরোনো। কিন্তু হালে এই সংকট আরো তীব্র হচ্ছে।
শিপিং এজেন্টরা বলছেন, করোনার আগে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার কন্টেইনারবাহী মাদার ভেসেলগুলো আসতো বাংলাদেশে। কিন্তু করোনা পরবর্তি সময়ে খরচ কমাতে গিয়ে বড় জাহাজ পরিচালনা কমিয়ে দিয়েছে প্রিন্সিপাল কোম্পানীগুলো। আর তাই সিঙ্গাপুর মালোয়েশিয়ার মতো ট্রানজিট বন্দরগুলোতে তৈরী হয়েছে কন্টেইনারের জট। আর এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।
আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানী রপ্তানীর পরিসংখ্যন অনুযায়ী এখনো সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তবে বড় কন্টেইনার না পেয়ে ছোট কন্টেইনারের পণ্য রপ্তানী করতে গিয়ে খরচ বাড়ছে রপ্তানীকারকদের। সেটাফ
মার্কস লাইন, ওয়ান লাইন, হেপাগ্লোয়েড, হুন্দায়, এমএসসি’র মতো ১২ টি বড় শিপিং কোম্পানীসহ ছোট ছোট আরো অন্তত ৩০ টি কোম্পানীর কার্যক্রম চালু আছে বাংলাদেশে। একমাত্র মার্কস লাইন ছাড়া অন্য সব কোম্পানীর কন্টেইনারে সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।