২১ বছরেও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চালু হয়নি বিধবা ভাতা কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ০৫:২৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
হতদরিদ্রদের বিধবা ভাতা শুরুর ২১ বছর পার হলেও বরিশালসহ দেশের ৬ বিভাগীয় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চালু হয়নি এই ভাতা কার্যক্রম। অথচ এই সামান্য ভাতা পেলে বিধবা নারীদের তিনবেলা খাবার খরচ না উঠলেও ওষুধের টাকার জন্য চিন্তা করতে হতো না। আবার বয়স্ক ভাতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ বিধবা ভাতা চালুর জন্য সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করা হলেও ফলাফল শুন্যের কোঠায়। এসব ভাতা পেতে তাদের গ্রামে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
২৫ বছর পূর্বে তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বিধবা হন নগরীর সিকদার পাড়ার বাসিন্দা ফরিদা বেগম। যে সময় থেকে বিভিন্ন স্থানে বিধবা ভাতা চালু হয়, তখন থেকেই তিনি জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের কাছে ধর্না দিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনভাবেই ভাতা হয়নি। সকলের একই উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিধবা ভাতা দেয়া হয় না। এভাবে নগরীর কয়েক হাজার হতদরিদ্র বিধবা সামাজিক নিরাপত্তার ছিড়ে ফোটা সহায়তা থেকে বঞ্চিত। অথচ গ্রাম পর্যায়ে এ ভাতা শুরু হয়েছে ১৯৯৯ সাল থেকে।
সন্তানরা কষ্ট করে তিনবেলা খাবার দিলেও তাদের পক্ষে সার্বক্ষনিক ওষুধের চালিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। যে সময় আয় ভালো হয় তখনই ওষুধ জোটে। এ জন্য সরকারের নিকট বিধবা ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মন্ত্রীর মাধ্যমে দেশের সবক’টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিধবা ভাতা দেয়ার অনুরোধ জানানো হলে, মন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে তা উত্থাপন করেন। এছাড়া মেয়র থেকে শুরু করে সমাজসেবা দপ্তর পর্যন্ত আবেদন-নিবেদন করা হয়, বললেন পরপর চারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মহাপরিচালক সকলেই অবহিত। যত দ্রুত সম্ভব এ বিধবা ভাতা চালু হবে বলে জানালেন সমাজসেবা দপ্তরের এ উপ-পরিচালক।
এদিকে একই সময় থেকে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম-রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার হাজার হাজার হতদরিদ্র বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত।