১৬৬ বছরের পুরনো পাবলিক লাইব্রেরীর জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল কালেক্টর স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণে ১৬৬ বছরের পুরনো পাবলিক লাইব্রেরীর জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কিন্তু কঠোর ভূমিকায় থাকা সুশীল সমাজের দাবি উন্নয়নের নামে কোন ইতিহাস ও ঐতিহ্য চাপা পড়তে দেয়া যাবে না। এবং প্রাচীন প্রতিষ্ঠান পাবলিক লাইব্রেরীর উন্নয়ন করে ইন্টারনেটে যুগের যুব সমাজকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে হবে।
বাংলা, বিহার, আসাম ও ঊড়িষ্যা অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে পুরানো বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরী। ১৮৫৪ সালে নগরীর বিবির পুকুর পাড়ে এই লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে নগরীর বান্দ রোডে ৫৪ শতাংশ জমিতে দোতলা ভবন করে কার্যক্রম সম্প্রসারন হয়। বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ৩০ হাজার বই ছিলো এখানে। দুস্প্রাপ্য বই রয়েছে ১০ হাজার । সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়েছে ২০ হাজার বই।
এদিকে, পাবলিক লাইব্রেরির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনাসহ এর সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লিখে স্ট্যাটাস দেয়া অব্যাহত রেখেছেন।
উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এই লাইব্রেরীর যত উন্নয়ন হবে ততই জ্ঞানের আলোর বিকাশ ঘটবে। তাই এই লাইব্রেরীকে কোনভাবেই ভাঙ্গতে দেয়া হবে না, বললেন নগরবাসী।
স্কুলের পাশাপাশি দেড়শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরীকে প্রানবন্ত করে তোলার দাবী জানালেন সুশীল সমাজের এ নেতা।
জেলা প্রশাসক প্রতিশ্রুতী দিয়েছেন, স্কুলের জায়গায় স্কুল হবে এবং পাবলিক লাইব্রেরীকে নতুনভাবে সাজিয়ে ইন্টারনেটে যুগের যুব ও তরুন সমাজকে বই পড়ায় অভ্যস্ত করাতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরীর পাশের জমিতে বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়। কলেজের খেলার মাঠের জন্য জমি দখলে নিতে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে লাইব্রেরীর বাউন্ডারী ভাংচুর করলে ক্ষুব্ধ হন সুশীল সমাজ।