১৬১ ইউনিয়ন ও ৯ পৌরসভার নির্বাচনী সহিংসতায় দুই জেলায় নিহত ৩
- আপডেট সময় : ০৭:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০২ বার পড়া হয়েছে
সংঘর্ষ ও বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯ পৌরসভার ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী সহিংসতায় কক্সবাজার ও বাগেরহাটে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫ জন। বেশকিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’জনসহ ৭ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটবর্জন করেন। ভোটশেষে এখন চলছে গণনা।
কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। একই সময় কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষে আরও একজন মারা গেছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ জন। এ ঘটনায় দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এছাড়া চকরিয়া ও টেকনাফেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাটের মোংলায় ফাতেমা বেগম নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে গেলে ওই নারীসহ চার জন আহত হন। পরে, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের হুমকি দেয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুইজনসহ পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
ফেনীর সোনাগাজী পৌর নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে ১৬ জন বহিরাগত আটক করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২১ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভায় শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। প্রতিটি কেন্দ্রেই মহিলা ভোটারের লাইন দীর্ঘ দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হচ্ছে। ২০১৪ সালে গঠিত এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে।
বিরুপ আবহাওয়ার কারণে যশোরের নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছে এখানে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা ও সন্দ্বীপের ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা।
খুলনায় ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা।