০৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব ও ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুর পর আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব ও ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। তবে সংগঠনটির নেতাদের দাবি, সাংগঠনিক নিয়মেই গণতান্ত্রিক উপায়ে কর্মীরা তাদের পরবর্তি কাণ্ডারী নির্বাচন করবেন। এতে করে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না সংগঠনিক শক্তির। এছাড়া আল্লামা শফির মৃত্যুর আগের দিন হাটহাজারী মাদ্রাসার চার দেয়ালের ভেতরে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খল ঘটনাগুলো জন্ম দিয়েছে নানা ধোঁয়াসার।

২০১০ সালে নারী নীতির বিরোধীতা করে জন্ম নেয়া হেফাজতে ইসলাম সবচেয়ে বেশী আলোচিত হয় ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ’র বিরোধীতা করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও এর শাখা প্রশাখার নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইসলামী দল ও জোটের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এমন নানা মত ও পথের লোকদের একমঞ্চে জড়ো করার প্রধান কাজটিই করেছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সদ্য বিদায়ী মুহতামিম ও হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

সাম্প্রতি তার মৃত্যুর পর, কে হবে হেফাজতের কাণ্ডারী; তার পক্ষে সংগঠনটির ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না; এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তবে সংগঠনটির মহাসচিব বলছেন মজলিসে শুরার বৈঠকেই চুড়ান্ত হবে সবকিছু। আলোচিত সংগঠনটির অন্য নেতাদেরও দাবি আল্লামা শফির শুন্যস্থান পুরণ না হলেও এতটুকু ভাটা পরবেনা সাংগঠনিক সক্ষমতার।

২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান ও সহিংসতার পর বাবুনগরী গ্রেফতার হলেও অক্ষত অবস্থায় চট্টগ্রামে ফিরে আসেন আল্লামা শফি। এরপর থেকে আস্থা অনাস্থার দোলাচল তৈরী হয় এই দুই শীর্ষ নেতার মাঝে। যার জের ধরে ক’মাস আগে হেফাজতের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত হাটহাজরী মাদ্রাসার সহকারি পরিচালকের পদ ছাড়তে হয় বাবুনগরীকে। সবশেষ মৃত্যুর একদিন আগে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ হারান আল্লামা শফিও।এমন বাস্তবতায় সংগঠনটির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। আল্লামা শফির মৃত্যুর পর হেফাজতের নতুন আমির হিসেবে সংগঠনটির মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, শেখ আহমেদ, মুহিবুল্লা বাবুনগরী ও নুর হোসাইন কাশেমীর নাম আলোচিত হচ্ছে। তবে আমিরের পদটি হাটহাজারি মাদ্রাসার বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান, সংশ্লিষ্টরা। ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব ও ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ

আপডেট সময় : ০১:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুর পর আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব ও ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। তবে সংগঠনটির নেতাদের দাবি, সাংগঠনিক নিয়মেই গণতান্ত্রিক উপায়ে কর্মীরা তাদের পরবর্তি কাণ্ডারী নির্বাচন করবেন। এতে করে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না সংগঠনিক শক্তির। এছাড়া আল্লামা শফির মৃত্যুর আগের দিন হাটহাজারী মাদ্রাসার চার দেয়ালের ভেতরে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খল ঘটনাগুলো জন্ম দিয়েছে নানা ধোঁয়াসার।

২০১০ সালে নারী নীতির বিরোধীতা করে জন্ম নেয়া হেফাজতে ইসলাম সবচেয়ে বেশী আলোচিত হয় ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ’র বিরোধীতা করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও এর শাখা প্রশাখার নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইসলামী দল ও জোটের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এমন নানা মত ও পথের লোকদের একমঞ্চে জড়ো করার প্রধান কাজটিই করেছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার সদ্য বিদায়ী মুহতামিম ও হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

সাম্প্রতি তার মৃত্যুর পর, কে হবে হেফাজতের কাণ্ডারী; তার পক্ষে সংগঠনটির ঐক্য ধরে রাখা সম্ভব হবে কি না; এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তবে সংগঠনটির মহাসচিব বলছেন মজলিসে শুরার বৈঠকেই চুড়ান্ত হবে সবকিছু। আলোচিত সংগঠনটির অন্য নেতাদেরও দাবি আল্লামা শফির শুন্যস্থান পুরণ না হলেও এতটুকু ভাটা পরবেনা সাংগঠনিক সক্ষমতার।

২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান ও সহিংসতার পর বাবুনগরী গ্রেফতার হলেও অক্ষত অবস্থায় চট্টগ্রামে ফিরে আসেন আল্লামা শফি। এরপর থেকে আস্থা অনাস্থার দোলাচল তৈরী হয় এই দুই শীর্ষ নেতার মাঝে। যার জের ধরে ক’মাস আগে হেফাজতের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত হাটহাজরী মাদ্রাসার সহকারি পরিচালকের পদ ছাড়তে হয় বাবুনগরীকে। সবশেষ মৃত্যুর একদিন আগে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ হারান আল্লামা শফিও।এমন বাস্তবতায় সংগঠনটির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। আল্লামা শফির মৃত্যুর পর হেফাজতের নতুন আমির হিসেবে সংগঠনটির মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, শেখ আহমেদ, মুহিবুল্লা বাবুনগরী ও নুর হোসাইন কাশেমীর নাম আলোচিত হচ্ছে। তবে আমিরের পদটি হাটহাজারি মাদ্রাসার বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান, সংশ্লিষ্টরা। ।