হেফাজতে ইসলামের আমির বাবুনগরীর রাত ১১টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় জানাযা শেষে দাফনের সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় : ০৪:৫৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
হেফাজতে ইসলামের আমীর, আলেমকুল শিরমণি আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন। দুপুরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে কিডনী, ডায়বেটিস উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন বাবুনগরী ।দেশের শীর্ষস্থানীয় এই আলেমের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে। তার মৃত্যুর খবরে আলেম ওলামা এবং সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভেঙ্গে পড়েন।
আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। ২০১০ সালে সরকারের নারী নীতির বিরোধীতা করে জন্ম নেয়া সংগঠন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা গণ-জাগরণ মঞ্চর বিরুদ্ধে শাপলা চত্ত্বরে কর্মসুচী দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন তিনি। পড়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে মাঝে মধ্যেই সংবাদের শিরোনাম হতেন বাবুনগরী। সবশেষ আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির আমীর নির্বাচিত হন প্রবীন এই ধর্মীয় নেতা।
কয়েকমাস ধরেই হাইপার টেনশন, কিডনী সংক্রান্ত জটিলতা, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন জুনাইদ বাবুনগরী। বুধবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতাল নিয়ে আসেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পথের মাঝেই শেষ নি:স্বাস ত্যাগ করেন বাবুনগরী।
হুজুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ছাত্ররা। শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও জানান তারা।
হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলছেন আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় সর্বচ্চো নেতা ছিলেন আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। তার মৃত্যুতে সংগঠনের অপুরণীয় ক্ষতি হবার পাশাপাশি নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী চলমান আন্দোলনও বাধাগ্রস্ত হবে।
১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জামিয়াতুল ইসলামীয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করে দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জানুইদ বাবুনগরী। বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের আমীরের পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে বড় কওমী মাদ্রাসা দারুল উলুম হাটহাজারীর পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।