স্থবিরতা নেমেছে দেশের ভাসমান লোহার খনি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে
- আপডেট সময় : ০৩:১২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবিরতা নেমেছে দেশের ভাসমান লোহার খনি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে। গেল ১০ দিনের অঘোষিত লকডাউনে ক্ষতির পরিমান ছাড়িয়েছে ৫শো’কোটি টাকা। উদ্যোক্তারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে কাচামাল সংকট তৈরি হবে ইস্পাত শিল্পে। আর শিপব্রেকিং এসোসিয়েশনের নেতাদের দাবি, ব্যাংক ঋণের সুদ আদায়ে সহজিকরণ না করলে টিকে থাকা কঠিন হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাগরপাড়ে গড়ে ওঠা প্রায় দেড়শোটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের বেশিরভাগই এখন বন্ধ। যে-কটি চালু আছে তাদের কার্যক্রমও ছোট করে ফেলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি এর ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় এই অবস্থার তৈরী হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন জাহাজ বিচিং করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞার মেয়ার আরো বাড়ার ইঙ্গিত এসেছে।এতে বিপুল পরিমান ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিটি শিপ বাংলাদেশে আনতে খরচ পড়ে দেড়শো থেকে দুই শো কোটি টাকা। উদ্যোক্তারা বিশাল অংকের এই টাকার যোগান দেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে। কিন্তু ঋণের সুদ আদায়ে ব্যাংকগুলোর ওপর সরকারের কোন নির্দেশনা না আসায় উদ্বিগ্ন ইয়ার্ড মালিকরা।
ইস্পাতশিল্পসহ অন্তত ১০ টি ছোট-বড় শিল্পের কাঁচামালের প্রধান উৎস জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। বর্তমানে সবখাতই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই সবগুলো শিল্পকারখানাকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোগী হতে সরকারের প্রতি আহবান জানান উদ্যোক্তারা। গেল কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কারণে ইস্পাতশিল্প, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পেরমতো ভারি শিল্পকারখানার গুরুত্ব বেড়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ফের অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।