সিলেটের তিন জেলায় এবারের বন্যায় ৩৪ কোটি টাকার বেশি মাছ ও মাছের পোনা ভেসে গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি মৎস্য বিভাগের প্রাথমিক হিসাব।চুড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন হলে, ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। বন্যায় লোকসানে পড়েছে মৎস্য চাষীরা। তারা সরকারের কাছে  আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। মৎস্য বিভাগ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী ও খামারিদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

সিলেট মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে এবারের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পুকুর জলাশয়ের পাড় ভেঙ্গে ও পানিতে ডুবে ৩৪ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকার বেশি মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। একারণে বিশাল অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে মাছ চাষীদের।

সিলেটের ১৩ উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায়, ৭ হাজার হেক্টর জলাশয় থেকে ৩৩ মেট্রিক টন মাছ ও ২ কোটি ৯৩ লাখ মাছের পোনা ভেসে গেছে। যার মূল্য ২২ কোটি টাকারও বেশি। মৌলভীবাজারে ৩শ’ ২৫ দশমিক ৬০ হেক্টরের ৮শ’ ১৮টি জলাশয়ের ৬শ’ ৩১ মেট্রিক টন মাছ ও ৫৭ লাখ পোনা ভেসে গেছে। টাকার হিসেবে ক্ষতি ৫ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর সুনামগঞ্জে ৫শ’ পুকরের সাড়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ২৪০ মেট্রিকটন মাছ ও ৮০ লাখ মাছের পোনা ভেসে গেছে। প্রথম দফা বন্যায় সিলেট বিভাগে এক কোটি ৬০ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। প্রায় ৩৩ হাজার খামারির ৫ হাজার ২৫৮ হেক্টর পুকুরে কার্প জাতীয় মাছের খামার ক্ষতি হয়েছে।

সিলেটের মৎস্য চাষ সম্প্রসারিত হওয়ার সময়ে খামারিরা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায়, তারা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন করে চাষীদের খামারে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের আর্থিক সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সহায়তার আওতায় আনা হবে বলে জানালেন সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক।

মৎস্য সপ্তাহ’র মধ্যদিয়ে নতুন উদ্দীপনায় সিলেটের চাষীরা ক্ষতি পোষাণের কাজ শুরু করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।