সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোকে গ্যাস সরবরাহে মাসিক অনুমোদিত সীমা মেনে চলার নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৫:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো এতদিন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করলেও, এবার মাসিক অনুমোদিত সীমা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কর্তৃপক্ষ। সীমা অতিক্রম করায় এরই মধ্যে জেলার ৮টির মধ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে ৪টি ফিলিং স্টেশন। বাকিগুলোও চাহিদামতো দিতে পারছে না গ্যাস। এতে চরম ভোগান্তিতে সিএনজিচালিত গাড়ি মালিক, চালক ও যাত্রীরা।
হবিগঞ্জের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে মিলছে না পর্যাপ্ত গ্যাস। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করায় ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। চালকরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় নামমাত্র গ্যাস দেয়া হচ্ছে তাদের। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
হবিগঞ্জের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো এতদিন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করলেও, গত রোববার থেকে তাদের অনুমোদিত সীমার মধ্যে গ্যাস ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম কর্তৃপক্ষ। ফলে ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস বিক্রি সীমিত করতে হচ্ছে তাদেরকে।
হবিগঞ্জ শহরের ইন্ট্রাকো সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের মাসিক অনুমোদিত লোড ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৩২ ঘনমিটার। পূর্বের ধারাবাহিকতায় রোববারের আগেই প্রায় সোয়া ৩ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হয় তাদের। ফলে অবশিষ্ট বরাদ্দ দিয়েই চালিয়ে নিতে হবে মাসের বাকি দিনগুলো। তাই গ্রাহক চাহিদা মেটাতে পারছেন না তারা।
এরই মধ্যে মাসিক সীমা অতিক্রম করায় বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার ৪টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। টানিয়ে দেয়া হয়েছে নোটিশ। ১ আগস্টের আগে আর গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না তারা।
হবিগঞ্জ জেলার ৮টি ফিলিং স্টেশন থেকে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ২০ হাজার যানবাহনকে সিএনজি সরবরাহ করা হয়।