সারের কৃত্রিম সংকট চলছে শেরপুরে

- আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
সারের কৃত্রিম সংকট চলছে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে। এতে, সরকারি দামের চেয়ে বেশি দরে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকদরা। সচেতন নাগরিকরা বলছেন … ডিলার ও কৃষি বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই সৃষ্টি করা হয়েছে কৃত্রিম সার সংকট। তবে, জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে তাদের কাছে অতিরিক্ত দামের তথ্য নেই। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব বলছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চলতি আমন মৌসুমে শেরপুর জেলায় বেড়ে গেছে সারের দাম। সরকার নির্ধারিত ৫০ কেজি ইউরিয়া ও টিএসপি সারের দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা, এমওপি ১ হাজার টাকা ও ডিএপি ১০৫০ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামে সার কিনতে বিএডিসি ও বিসিআইসি ডিলারদের কাছে ঘুরছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া এককেজি সারও পাচ্ছেন না কৃষকরা।
সারের সরকার নির্ধারিত দাম কেবল কাগজে কলমেই, কিনতে গেলে বাড়তি দাম ছাড়া সার পারনা কেউই। এতে বাড়েছে উৎপাদন খরচ। অন্যদিকে, লোকসানের শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
সচেতন নাগরিকদের ধারনা, বর্তমান সরকারের মান ক্ষুন্ন করতেই; কতিপয় ডিলার ও অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে সৃষ্টি হয়েছে অবৈধ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটই সারের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ি।
সারের মূল্যবৃদ্ধি সম্বন্ধে কোন তথ্য নেই জেলা কৃষি বিভাগের কাছে।
সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, নেই কোন সংকট। অভিযুক্ত ডিলার ও অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে… দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে; জানালেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব
শেরপুরে বিএডিসি ও বিসিআইসি’র বর্তমানে ২০১ জন ডিলার রয়েছেন। আর চলতি মৌসুমে জেলায় ৯২ হাজার ৫৮৭ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।