সারাদেশে পথে-ঘাটে নিগৃহীত হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ
- আপডেট সময় : ০৫:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে পথে-ঘাটে নিগৃহীত হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রীকে। ফেরির আশায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে ছুটছেন তারা। অসহ ভোগান্তি আর সময় বাড়ার সাথে সাথে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অপেক্ষামান যাত্রীরা। নানা জটিলতার পর অবশেষে দিনরাত ২৪ ঘন্টা ফেরি চলাচলের নির্দেশ দেয়া হলো দুপুরের পর। এদিকে, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেয়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী।
রাস্তার সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ঘরমুখো মানুষের ভিড় জমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে নৌপথের এই সব যাত্রীরা।
শিমুলিয়া-ভাঙা সড়কে বিজিবি টহল দিলেও, ঘাটে ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মালবাহী গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে অন্তত সাড়ে ৪শ’ গাড়ি। এর মধ্যে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এবং তিন হাজার যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে একটি ফেরি ছেড়ে গেছে বলে জানায়, বিআইডব্লিউটিসি।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটে দীর্ঘসময় আটকে আছে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন। এই নৌপথে চলছে ১/২টি ফেরি। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পরিবহণে মাছ, তরমুজসহ কাঁচামালে পচন ধরায় বাংলাবাজার ঘাটে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের একাধিক জায়গায় যৌথ তল্লাশি চালাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি। ঘাটে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তবু, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রোগী ও মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং পণ্যবাহী ট্রাকে করে পার হচ্ছে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যান।
ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে হাজারো মানুষ। দূরপাল্লার পরিবহণ না থাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছুটছে অনেকেই।
ওদিকে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়ার সময় দূরপাল্লার শতাধিক বাস আটক করেছে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ। জেলার আলেখারচর, মিয়ারবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার চেক পোস্টে এসব বাস আটক করা হয়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ক্রমেই বাড়ছে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা। বেড়েছে যানবাহনের চাপ। বঙ্গবন্ধু সেতু’র পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায়, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে শত-শত মানুষ।
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও ট্রাকে করে কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ছুটছে বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ। তবে, সামনে পেলে যানবাহনসহ আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কুমিল্লা থেকে রংপুরগামী ধান কাটা শ্রমিকদের একটি বাস অনুমতি পত্র থাকার পরও আটকে দিয়েছে বলে ক্ষোভ জানায় সংশ্লিষ্টরা। তবে পুলিশ জানায়, কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীতেও পরিবার নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটছে যাত্রীরা। মহাসড়কে অল্প সংখ্যক দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। তবে, পুরো সড়কের দখল নিয়েছে ভাড়ায় চালিত ছোট ছোট প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস। অনেকে আবার হেটেই চলছে নিজ-নিজ গন্তব্যে।