সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে না হতেই শতকোটি টাকার মালিক
- আপডেট সময় : ০২:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
চাঁদাবাজি, মাদক, জুট সন্ত্রাস আর ভূমি দখলের বিস্তর অভিযোগ সাভার উপজেলা ভাইস-চেযারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খানের বিরুদ্ধে । ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যিনি ইউপি সদস্য থেকে সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে না হতেই শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন অবৈধ দখলদারিত্বের বদৌলতে। প্রশাসন ও দলীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে পুরো সাভার এলাকায় গড়ে তুলেছেন ত্রাসের রাজত্ব।
প্রতিনিয়ত অনলাইন-অফলাইন গণমাধ্যমের লালকালো শিরোনামে উঠে আসছে সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খানের ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপর্কের চিত্র। তারপরও কোনোভাবেই থামছে না তার দৌরাত্ম্য।
থানায় আছে মামলাসহ জিডি। আদালতে ঝুলছে একাধিক মামলা। তারপরও ক্ষমতার দাপটে আছেন বহাল তবিয়তে।
জেনিস শোরুমের মালিক নাসির খান চেষ্টা করেও সেটা উদ্ধার করতে পারেনি।
জেনিস শোরুমের পাশের সিটি সেন্টার নামে এ পুরো মার্কেটটিও দখল করে নিয়েছেন শাহাদাত। এই সিটি সেন্টারেরই তার ব্যক্তিগত কার্যালয়।
বাইপাইলের সোনিয়া মার্কেটের পাশে এই ৮তলা ভবনের মালিকও শাহাদাৎ হোসেন খান। বিলাসবহুল এই ভবনটি আবাসিক হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জের ৩০ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন আলিফ গার্ডেন। এই বাগান বাড়ির দৃশ্য বলছে একজন ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে কিভাবে এত সম্পদ অর্জন করেন।
এসব বিষয় এসএটিভির মুখোমুখি হয়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন শাহাদৎ হোসেন খান।
অথচ আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ক্রয় সুত্রে এ জমির মালিক সাহাদাত হোসেন খান এরকম সাইন বোর্ড লাগিয়েই দখল করে নিয়েছেন বহু বাড়ি ও জমি।
ভুক্তভোগীরা জানালেন, এ সব কাজে শাহাদাতের সহযোগী আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জিয়াউল ইসলাম ও এস আই এমদাদ। তাই থানায় অভিযোগ দিয়েও লাভ হয় না।
এ বিষয়ে কথা বলতে আশুলিয়া থানায় গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি ওসি তদন্ত জিয়াউল ইসলাম ও এস আই এমদাদের । তবে মুঠো ফোনে..
শাহাদাতের এ সব অপকর্মের খবরে অস্বস্তি প্রকাশ করে নাগরিক কমিটির সাভার সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলকে আরো কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
সাভারের সাধারণ মানুষের দাবি, এ মুহূর্তে সাহাদাতের দৌরাত্ম্য থামানো না গেলে অনেক অসহায় মানুষকে ভিটে মাটি হারাতে হবে। তাই দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।