০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সাগরপাড়ের অন্তত ৮টি খালের প্রবেশমুখ সংকুচিত করে ফেলছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বে-টার্মিনালের জন্য মাটি ভরাট করতে গিয়ে সাগরপাড়ের অন্তত ৮টি খালের প্রবেশমুখ সংকুচিত করে ফেলছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে নগরীর বড় একটি অংশে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পরিবেশকর্মীরা। আর সিডিএ বলছে, আপত্তি উপেক্ষা করে খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করেই চলছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে খালের কোনো ক্ষতি হবে না।

পতেঙ্গা আউটার রিংরোডের পাশে সাগরপাড়ের বিশাল পরিত্যক্ত জমিতে নতুন বন্দর ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গুরুত্বপূর্ণ এই মেগা প্রকল্পের নকশা না হলেও মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প এলাকায় ছোট-বড় আটটি খাল রক্ষণাবেক্ষণে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই বন্দরের। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ–সিডিএ’র দাবি, প্রতিটি খালের দু’পাশে এক’শ মিটার পর্যন্ত খালি রেখে ভূমি উন্নয়নের সুপারিশ করা হলেও তা মানছে না বন্দর।

ভরা জোয়ারে খালগুলোর অন্তত অর্ধশত মিটারের বেশি দৃশ্যমান হলেও, এখন তা সংকুচিত করে নামিয়ে আনা হয়েছে ১৫ মিটারেরও নিচে। কোথাও কোথাও বাধ দিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়েছে পাইপ।এতে নগরীর জলাবদ্ধতা বাড়ার পাশাপাশি ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশংকা করছে নদী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীরা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ১৯৬৮ সালের মাস্টারপ্লানে চট্টগ্রামজুড়ে ৭১টি খালে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। ১৯৯৬ সালের মাস্টারপ্লানে ৫৭টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চলছে ৩৬টি খালের ওপর। নির্মাণ কাজ এভাবে চললে অস্তিত্ব হারাবে আরো আটটি খাল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাগরপাড়ের অন্তত ৮টি খালের প্রবেশমুখ সংকুচিত করে ফেলছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

বে-টার্মিনালের জন্য মাটি ভরাট করতে গিয়ে সাগরপাড়ের অন্তত ৮টি খালের প্রবেশমুখ সংকুচিত করে ফেলছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে নগরীর বড় একটি অংশে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন পরিবেশকর্মীরা। আর সিডিএ বলছে, আপত্তি উপেক্ষা করে খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করেই চলছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে খালের কোনো ক্ষতি হবে না।

পতেঙ্গা আউটার রিংরোডের পাশে সাগরপাড়ের বিশাল পরিত্যক্ত জমিতে নতুন বন্দর ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গুরুত্বপূর্ণ এই মেগা প্রকল্পের নকশা না হলেও মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প এলাকায় ছোট-বড় আটটি খাল রক্ষণাবেক্ষণে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই বন্দরের। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ–সিডিএ’র দাবি, প্রতিটি খালের দু’পাশে এক’শ মিটার পর্যন্ত খালি রেখে ভূমি উন্নয়নের সুপারিশ করা হলেও তা মানছে না বন্দর।

ভরা জোয়ারে খালগুলোর অন্তত অর্ধশত মিটারের বেশি দৃশ্যমান হলেও, এখন তা সংকুচিত করে নামিয়ে আনা হয়েছে ১৫ মিটারেরও নিচে। কোথাও কোথাও বাধ দিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়েছে পাইপ।এতে নগরীর জলাবদ্ধতা বাড়ার পাশাপাশি ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশংকা করছে নদী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীরা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ১৯৬৮ সালের মাস্টারপ্লানে চট্টগ্রামজুড়ে ৭১টি খালে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। ১৯৯৬ সালের মাস্টারপ্লানে ৫৭টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চলছে ৩৬টি খালের ওপর। নির্মাণ কাজ এভাবে চললে অস্তিত্ব হারাবে আরো আটটি খাল।