০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

সাংবাদিকতা: কারো বিরুদ্ধে ৮০ মামলা, কারো দুই মামলায় ১৮ বছর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নিস্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লাগে৷ অধিকাংশ মামলায় শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা নির্দোষ প্রমাণিত হলেও হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেন না৷ তাদের সহায়তা দেয়ার মতোও কেউ থাকেন না৷

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ৯ মাসেও নিস্পত্তি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ জাতিসংঘ৷ বিচারিক হয়রানি বন্ধে জাতিসংঘের চারজন র‌্যাপোটিয়ার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

মামলাটি এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে৷ ২০২১ সালের ১৭ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখেন৷ তারা অভিযোগ তোলেন, রোজিনা বিনা অনুমতিতে কোভিড-১৯-এর টিকা কেনা সম্পর্কিত সরকারি নথিপত্রের ছবি মোবাইল ফোনে তুলেছিলেন৷ পরে রোজিনার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি আইন এবং দণ্ডবিধির ধারায় মামলা দায়ের করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা৷ গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে৷ সেখানে বলা হয়, রোজিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ এরপর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না দিয়ে পিবিআইকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত৷

সাংবাদিক রোজিনাসহ আরো দুই-একটি ঘটনা আলোচনায় এলেও অনেক সাংবাদিকের ঘটনাই আলোচনায় আসে না৷ ফলে তারা প্রতিকারের কোনো পথও খুঁজে পান না৷ আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকেও তাদের বিষয়ে কখনো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি৷

নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা খবর পরিবেশনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি  খুলনায় গ্রেপ্তার করা হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক হেদায়েত হোসেনকে৷ তখন হেদায়েতসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামল করেন খুলনার বটিয়ঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী৷ হেদায়েত দুইদিন পর জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা থেকে তার অব্যহতি পেতে দুই বছরের বেশি লেগে যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘মামলার চার্জশিটে আমাকে অব্যহতি দেয়া হলেও মানবজমিনের একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সেই মামলা এখনো চলছে৷ তবে তিনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেছেন৷ আর  আমাকে চার্জশিটে অব্যহতি দেয়ার পর ২০২১ সালের মার্চে ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে অব্যহতি নেয়ার পর মামলা থেকে মুক্তি পাই৷’’

তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে৷ দুই বছরেরও বেশি সময় প্রতি মাসে আদালতে হাজির হতে হয়েছে৷ এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি৷ মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ এখন আমি প্রশাসনের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে লিখতে ভয় পাই৷ আমার হাত কাঁপে৷ খুব সাবধানে লিখি৷’’

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান নির্যাতনের শিকার হয়েও উল্টো এক বছরের কারাদন্ড মাথায় নিয়ে সাংবাদিকতা করছেন৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রাম জেলার তখনকার জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন মোবাইল কোর্ট বসিয়ে রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে  মাদকের মিথ্যা মামলায় তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ আটকের পর তাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়৷ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তার দন্ডের কথা জানতে পারেন৷ সরকারি টাকায় পুকুর কাটিয়ে তার নাম নিজের নামে ‘সুলতানা সরোবর’ রেখেছিলেন জেলা প্রশাসক৷ সেই প্রতিবেদন করেছিলেন আরিফুল ইসলাম৷

আরিফুল ইসলাম জানান, ‘‘কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি দন্ডের কথা জানতে পারি৷ এরপর হাইকোর্টে রিট করলে আদালত দন্ড স্থগিত করেন৷ কিন্তু সেই দন্ড তিন বছরেও বাতিল হয়নি৷ আর আমি যে মামলা করেছি তাও আর এগোচ্ছে না৷’’

পোশাক কারখানা নিয়ে টেলিভিশনে রিপোর্ট করায় সাভারের সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০১৬ সালে ৷ গ্রেপ্তারের পর আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করে পুলিশ৷ এরপর আরো ছয়টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ নজমুল হুদা ওইসব মামলায় দেড় মাসের মতো কারাগারে ছিলেন৷ এরপর মামলা থেকে তাকে অব্যহতি পেতে আরো দেড়-দুই বছর লাগে৷ নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেপ্তারের পর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়৷ সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়ান, প্রতিবাদ জানান৷ তা না হলে আমাকে হয়তো এখনো কারাগারে থাকতে হতো৷’’

তিনি জানান, ‘‘তারপরও অব্যাহতি পেতে আমাকে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বার বার ধর্ণা দিতে হয়৷ আর অব্যাহতি পাওয়ার পরও আমি হুমকির মুখে ছিলাম৷ আমরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ফেরত পেতে অব্যাহতির পরও আরো অনেক সময় লেগেছিল৷’’

ডিবিসি টেলিভিশনের রাজবাড়ি জেলার প্রতিনিধি দেবাশীষ বিশ্বাস ২০২০ সালের আগস্টে একটি হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন করার পর তাকেই ওই হত্যা মামলার আসামি করে পুলিশ৷ দেবাশীষ জানান, ‘‘ওই হত্যার ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্টতা ছিলো৷ আমি তা প্রতিবেদনে প্রকাশ করায় আমাকে মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়৷ মূল মামলায় আমি আসামি ছিলাম না৷ পরে আদালত চার্জশিট পর্যালোচনা করে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়৷একই সঙ্গে তদন্ত ও তদারকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দিলেও তাদের শাস্তি হয়নি৷’’ এই সাংবাদিকের মামলা থেকে মুক্ত হতে দুই বছর লেগেছে৷

মাদারিপুরের ‘দৈনিক মাদারিপুর সংবাদ’-এর সম্পাদক ইয়াকুব শিশিরের বিরুদ্ধে চার বছর আগে মানহানির মামলা করেন স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান৷ ইয়াকুব শিশির জানান, “একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলা করা হয়৷ আমি চার বছর ধরে নিয়মিত মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না৷’’

একুশে টেলিভিশনের এখনকার প্রধান বার্তা সম্পাদক অখিল পোদ্দার ‘জন দুর্ভোগ’ নামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদনের অনুষ্ঠান করে বেশ আলোচিত৷ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার পর ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ মামলা করেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা৷ অখিল জানান, ‘‘ওই মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি৷ আদালতে আমাকে দিনের পর দিন হাজিরা দিতে হচ্ছে৷ কবে শেষ হবে জানি না৷ ১০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছি৷’’

তিনি আরো জানান, “১৯৯৮ সালে যখন আমি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, তখন আমার এক প্রতিবেনের জেরে তখনকার ভিসি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আমার ও আমার পত্রিকার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন৷ ওই মামলা শেষ হতে আট বছর লেগেছিল৷ নিম্ন আদালতের রায় ভিসির পক্ষে গিয়েছিল৷ তখন জনকন্ঠ ভবন নিলামেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আমরা হাইকোর্ট থেকে পরে রেহাই পাই৷’’

দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে কুমিল্লার আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হয়৷ গত বছরের ১৭ মে তিনি এবং তার পত্রিকার প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত৷ মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে ওই মামলা হয়৷ শ্যামল দত্ত বলেন, “ মামলা কবে শেষ হবে জানি না৷ তবে আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যহতি চেয়েও পাইনি৷ প্রতি মাসে এখন আমাকে কুমিল্লার আদালতে দৌঁড়াতে হয়৷”

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের মাথার ওপরে আছে ৮০ মামলা৷ ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে মামলাগুলো করেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷ ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসমর্থিত খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলাগুলো করা হয়৷ মাহফুজ আনাম জানান, “ওই সময়ে উচ্চ আদালত থেকে একযোগে মামলাগুলো থেকে জামিন নিয়েছি৷ এখন মামলাগুলো পড়ে আছে৷ আমি কোয়াশমেন্টের আবেদনও করিনি৷” আদালত সূত্র জনায়, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ১৭টি এবং মানহানির অভিযোগে ৫৫টি- মোট ৭২টি মামলার নথি হাইকোর্টে আছে৷ এর বাইরে আরো ১০টি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে৷ সিলেট আদালতে করা একটি মামলা খারিজ করা হলেও বাকি মামলাগুলো বহাল আছে৷

খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন এমন মামলার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘‘শাস্তির চেয়ে ভয় দেখানো ও হয়রানি করাই এইসব মামলার উদ্দেশ্য৷ কারণ, তারা জানে অসত্য মামলা আদালতে প্রমাণ করা যাবে না৷ তাই প্রভাবশালীরা মামলা করে সাংবাদিকদের জেলে পাঠান, হয়রানি করেন৷ কিন্তু পরে মামলা মিথ্যা প্রমাণ হলেও বাদীর কোনো শাস্তি হয় না৷’’

তার কথা, ‘‘এই ধরনের মামলা বেশি করে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন৷ তারা এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভয় দেখায়৷ অন্য সাংবাদিকরাও যেন ভয় পায়- এটাই তাদের উদ্দেশ্য৷’’

অখিল পোদ্দার বলেন, ‘‘আমি প্রতিবেদন করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাই৷ সেখানকার সাংবাদিকরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন৷ তাদেরকে নানা ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়৷ এমনকি ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলাও দেয়া হয়৷ তাদের পাশে দাঁড়াানোর কেউ থাকে না৷ সাংবাদিকরাও বিভক্ত৷’’

আর আরিফুল ইসলাম রিগান বলেন, ‘‘এই হয়রানির মুখে অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতাই ছেড়ে দিচ্ছেন৷’’ নাজমুল হুদা জানান, ‘‘আমি সবার সহায়তায় পেশায় ফিরতে পেরেছি৷ কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার পর আমার প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল৷ তবে মামলর পর অনেকেই পেশায় আর ফিরতে পারেন না৷ এর ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়ে৷’’

ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “মামালার মুখে সাংবাদিকতা পেশা এখন অনেক বেশি ঝুঁকির মুখে৷ সাংবাদিকদের ভয়ের মুখে রাখার জন্যই এই মামলা৷ আমরা দাবি করে আসছি যে, প্রেস কাউন্সিলে মামলা করা হোক৷ কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না৷ আমরা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে-তে সাংবাদিক হয়রানির এই মামলা পদ্ধতি ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট অস্থানে যাবো৷’’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক  এ প্রসঙ্গে বলেন, “মামলার পর দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ পত্রিকার মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের সহায়তা করেন না৷ সেটা আরো দুঃখজনক৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল আইনে মামলা, গ্রেপ্তার পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না৷ আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল আইনে মামলা করার আগে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করতে হবে৷ প্রেস কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দেবে৷ আমরা চাই আমাদের এই দাবি মানা হোক৷”
তিনি বলেন, “প্রভাবশালীরা, হোক প্রশাসনে বা প্রশাসনের বাইরে, তারা সাংবাদিকদের দমন, হয়রানি করতে ও ভয় দেখাতে  মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ আর মিথ্যা মামলা ঝুলিয়ে রেখে হয়রানি আরো বাড়াচ্ছে৷ আমরা এর অবসান চাই৷’’

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাংবাদিকতা: কারো বিরুদ্ধে ৮০ মামলা, কারো দুই মামলায় ১৮ বছর

আপডেট সময় : ১২:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নিস্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লাগে৷ অধিকাংশ মামলায় শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা নির্দোষ প্রমাণিত হলেও হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেন না৷ তাদের সহায়তা দেয়ার মতোও কেউ থাকেন না৷

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ৯ মাসেও নিস্পত্তি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ জাতিসংঘ৷ বিচারিক হয়রানি বন্ধে জাতিসংঘের চারজন র‌্যাপোটিয়ার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

মামলাটি এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে৷ ২০২১ সালের ১৭ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখেন৷ তারা অভিযোগ তোলেন, রোজিনা বিনা অনুমতিতে কোভিড-১৯-এর টিকা কেনা সম্পর্কিত সরকারি নথিপত্রের ছবি মোবাইল ফোনে তুলেছিলেন৷ পরে রোজিনার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি আইন এবং দণ্ডবিধির ধারায় মামলা দায়ের করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা৷ গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে৷ সেখানে বলা হয়, রোজিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ এরপর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না দিয়ে পিবিআইকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত৷

সাংবাদিক রোজিনাসহ আরো দুই-একটি ঘটনা আলোচনায় এলেও অনেক সাংবাদিকের ঘটনাই আলোচনায় আসে না৷ ফলে তারা প্রতিকারের কোনো পথও খুঁজে পান না৷ আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকেও তাদের বিষয়ে কখনো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি৷

নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা খবর পরিবেশনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি  খুলনায় গ্রেপ্তার করা হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক হেদায়েত হোসেনকে৷ তখন হেদায়েতসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামল করেন খুলনার বটিয়ঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী৷ হেদায়েত দুইদিন পর জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা থেকে তার অব্যহতি পেতে দুই বছরের বেশি লেগে যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘মামলার চার্জশিটে আমাকে অব্যহতি দেয়া হলেও মানবজমিনের একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সেই মামলা এখনো চলছে৷ তবে তিনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেছেন৷ আর  আমাকে চার্জশিটে অব্যহতি দেয়ার পর ২০২১ সালের মার্চে ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে অব্যহতি নেয়ার পর মামলা থেকে মুক্তি পাই৷’’

তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে৷ দুই বছরেরও বেশি সময় প্রতি মাসে আদালতে হাজির হতে হয়েছে৷ এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি৷ মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ এখন আমি প্রশাসনের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে লিখতে ভয় পাই৷ আমার হাত কাঁপে৷ খুব সাবধানে লিখি৷’’

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান নির্যাতনের শিকার হয়েও উল্টো এক বছরের কারাদন্ড মাথায় নিয়ে সাংবাদিকতা করছেন৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রাম জেলার তখনকার জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন মোবাইল কোর্ট বসিয়ে রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে  মাদকের মিথ্যা মামলায় তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ আটকের পর তাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়৷ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তার দন্ডের কথা জানতে পারেন৷ সরকারি টাকায় পুকুর কাটিয়ে তার নাম নিজের নামে ‘সুলতানা সরোবর’ রেখেছিলেন জেলা প্রশাসক৷ সেই প্রতিবেদন করেছিলেন আরিফুল ইসলাম৷

আরিফুল ইসলাম জানান, ‘‘কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি দন্ডের কথা জানতে পারি৷ এরপর হাইকোর্টে রিট করলে আদালত দন্ড স্থগিত করেন৷ কিন্তু সেই দন্ড তিন বছরেও বাতিল হয়নি৷ আর আমি যে মামলা করেছি তাও আর এগোচ্ছে না৷’’

পোশাক কারখানা নিয়ে টেলিভিশনে রিপোর্ট করায় সাভারের সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০১৬ সালে ৷ গ্রেপ্তারের পর আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করে পুলিশ৷ এরপর আরো ছয়টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ নজমুল হুদা ওইসব মামলায় দেড় মাসের মতো কারাগারে ছিলেন৷ এরপর মামলা থেকে তাকে অব্যহতি পেতে আরো দেড়-দুই বছর লাগে৷ নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেপ্তারের পর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়৷ সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়ান, প্রতিবাদ জানান৷ তা না হলে আমাকে হয়তো এখনো কারাগারে থাকতে হতো৷’’

তিনি জানান, ‘‘তারপরও অব্যাহতি পেতে আমাকে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বার বার ধর্ণা দিতে হয়৷ আর অব্যাহতি পাওয়ার পরও আমি হুমকির মুখে ছিলাম৷ আমরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ফেরত পেতে অব্যাহতির পরও আরো অনেক সময় লেগেছিল৷’’

ডিবিসি টেলিভিশনের রাজবাড়ি জেলার প্রতিনিধি দেবাশীষ বিশ্বাস ২০২০ সালের আগস্টে একটি হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন করার পর তাকেই ওই হত্যা মামলার আসামি করে পুলিশ৷ দেবাশীষ জানান, ‘‘ওই হত্যার ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্টতা ছিলো৷ আমি তা প্রতিবেদনে প্রকাশ করায় আমাকে মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়৷ মূল মামলায় আমি আসামি ছিলাম না৷ পরে আদালত চার্জশিট পর্যালোচনা করে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়৷একই সঙ্গে তদন্ত ও তদারকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দিলেও তাদের শাস্তি হয়নি৷’’ এই সাংবাদিকের মামলা থেকে মুক্ত হতে দুই বছর লেগেছে৷

মাদারিপুরের ‘দৈনিক মাদারিপুর সংবাদ’-এর সম্পাদক ইয়াকুব শিশিরের বিরুদ্ধে চার বছর আগে মানহানির মামলা করেন স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান৷ ইয়াকুব শিশির জানান, “একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলা করা হয়৷ আমি চার বছর ধরে নিয়মিত মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না৷’’

একুশে টেলিভিশনের এখনকার প্রধান বার্তা সম্পাদক অখিল পোদ্দার ‘জন দুর্ভোগ’ নামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদনের অনুষ্ঠান করে বেশ আলোচিত৷ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার পর ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ মামলা করেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা৷ অখিল জানান, ‘‘ওই মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি৷ আদালতে আমাকে দিনের পর দিন হাজিরা দিতে হচ্ছে৷ কবে শেষ হবে জানি না৷ ১০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছি৷’’

তিনি আরো জানান, “১৯৯৮ সালে যখন আমি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, তখন আমার এক প্রতিবেনের জেরে তখনকার ভিসি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আমার ও আমার পত্রিকার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন৷ ওই মামলা শেষ হতে আট বছর লেগেছিল৷ নিম্ন আদালতের রায় ভিসির পক্ষে গিয়েছিল৷ তখন জনকন্ঠ ভবন নিলামেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আমরা হাইকোর্ট থেকে পরে রেহাই পাই৷’’

দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে কুমিল্লার আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হয়৷ গত বছরের ১৭ মে তিনি এবং তার পত্রিকার প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত৷ মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে ওই মামলা হয়৷ শ্যামল দত্ত বলেন, “ মামলা কবে শেষ হবে জানি না৷ তবে আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যহতি চেয়েও পাইনি৷ প্রতি মাসে এখন আমাকে কুমিল্লার আদালতে দৌঁড়াতে হয়৷”

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের মাথার ওপরে আছে ৮০ মামলা৷ ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে মামলাগুলো করেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷ ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসমর্থিত খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলাগুলো করা হয়৷ মাহফুজ আনাম জানান, “ওই সময়ে উচ্চ আদালত থেকে একযোগে মামলাগুলো থেকে জামিন নিয়েছি৷ এখন মামলাগুলো পড়ে আছে৷ আমি কোয়াশমেন্টের আবেদনও করিনি৷” আদালত সূত্র জনায়, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ১৭টি এবং মানহানির অভিযোগে ৫৫টি- মোট ৭২টি মামলার নথি হাইকোর্টে আছে৷ এর বাইরে আরো ১০টি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে৷ সিলেট আদালতে করা একটি মামলা খারিজ করা হলেও বাকি মামলাগুলো বহাল আছে৷

খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন এমন মামলার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘‘শাস্তির চেয়ে ভয় দেখানো ও হয়রানি করাই এইসব মামলার উদ্দেশ্য৷ কারণ, তারা জানে অসত্য মামলা আদালতে প্রমাণ করা যাবে না৷ তাই প্রভাবশালীরা মামলা করে সাংবাদিকদের জেলে পাঠান, হয়রানি করেন৷ কিন্তু পরে মামলা মিথ্যা প্রমাণ হলেও বাদীর কোনো শাস্তি হয় না৷’’

তার কথা, ‘‘এই ধরনের মামলা বেশি করে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন৷ তারা এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভয় দেখায়৷ অন্য সাংবাদিকরাও যেন ভয় পায়- এটাই তাদের উদ্দেশ্য৷’’

অখিল পোদ্দার বলেন, ‘‘আমি প্রতিবেদন করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাই৷ সেখানকার সাংবাদিকরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন৷ তাদেরকে নানা ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়৷ এমনকি ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলাও দেয়া হয়৷ তাদের পাশে দাঁড়াানোর কেউ থাকে না৷ সাংবাদিকরাও বিভক্ত৷’’

আর আরিফুল ইসলাম রিগান বলেন, ‘‘এই হয়রানির মুখে অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতাই ছেড়ে দিচ্ছেন৷’’ নাজমুল হুদা জানান, ‘‘আমি সবার সহায়তায় পেশায় ফিরতে পেরেছি৷ কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার পর আমার প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল৷ তবে মামলর পর অনেকেই পেশায় আর ফিরতে পারেন না৷ এর ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়ে৷’’

ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “মামালার মুখে সাংবাদিকতা পেশা এখন অনেক বেশি ঝুঁকির মুখে৷ সাংবাদিকদের ভয়ের মুখে রাখার জন্যই এই মামলা৷ আমরা দাবি করে আসছি যে, প্রেস কাউন্সিলে মামলা করা হোক৷ কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না৷ আমরা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে-তে সাংবাদিক হয়রানির এই মামলা পদ্ধতি ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট অস্থানে যাবো৷’’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক  এ প্রসঙ্গে বলেন, “মামলার পর দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ পত্রিকার মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের সহায়তা করেন না৷ সেটা আরো দুঃখজনক৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল আইনে মামলা, গ্রেপ্তার পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না৷ আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল আইনে মামলা করার আগে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করতে হবে৷ প্রেস কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দেবে৷ আমরা চাই আমাদের এই দাবি মানা হোক৷”
তিনি বলেন, “প্রভাবশালীরা, হোক প্রশাসনে বা প্রশাসনের বাইরে, তারা সাংবাদিকদের দমন, হয়রানি করতে ও ভয় দেখাতে  মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ আর মিথ্যা মামলা ঝুলিয়ে রেখে হয়রানি আরো বাড়াচ্ছে৷ আমরা এর অবসান চাই৷’’

ডয়চে ভেলে