সরকারের উদাসীনতায় ই-কমার্সের নামে চলছে প্রতারণা
- আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
সরকারের উদাসীনতায় ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে বছরের পর বছর ব্যবসার নামে প্রতারণা করে আসলেও আগে ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিশিষ্টজনরাও মনে করে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়ে সরকারের আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিলো। তবে গ্রাহকদের অতিরিক্ত লোভও এমন ঘটনার জন্য দায়ি করেছেন অনেকে। এদিকে সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাটকারীরা দুদকের নজরধারীতে আছেন বলে জানান সংস্থার কমিশনার ডক্টর মোজাম্মেল হক খান।
ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, প্রিয় শপিং কিউকম সহ বেশ কয়েকটি ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ বেশ আগে থেকেই। গ্রাহকদের দ্বিগুণ লাভ দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পণ্য দিতে গড়িমসি করায় ভুক্তভোগীরা সোচ্চার হন। তাদের অভিযোগ, যাদের দেখার কথা বা ধরার কথা সেই সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিকার। ই-কমার্স তদারকি এবং পর্যবেক্ষণে সরকারের সমন্বয়ের অভাব ছিলো বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরাও। তারা বলছেন, ই-কমার্সের নামে যারা প্রতারণা করেছে, তারা সব কিছু প্রকাশ্যে করেছে।ই-কমার্সের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতে গ্রাহকের অতিরিক্ত লোভ এবং অসচেতনতাকে দায়ি করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান, ফার্ম স্টক একচেঞ্জ, জাতীয় রাজস্ববোর্ড, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ ফোন ধরে ব্যস্ততা দেখিয়েছেন, কেউ ফোন কল সিরিভ করেন, ফোন রিসিভ করে এড়িয়ে গেছেন কেউ। তবে গ্রাহকের ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েও নেয়ার পর নড়েচড়ে বসে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। ইতোমধ্যে ই-অরেঞ্জর এমডি এবং চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরার চেষ্টা চলছে ধামাকা শপিংয়ের কর্মকর্তাদের। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের ৯টি সংস্থা তদন্ত করছে। এছাড়া ই-ভ্যালির এমডি এবং চেয়ারম্যানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।
ই-কমার্স অনুমোদন দেয়ার আগে উদ্যোক্তাদের বিস্তারিত জানার পাশাপাশি, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনরা। এছাড়া সরকারের নীতিমালা মানতে বাধ্য করা দরকার বলেও মনে করেন তারা।