চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ। নেই নিজস্ব কোন ভবন, নেই হোস্টেল, নেই কোনো নিজস্ব ক্যাম্পাস। দুই বছর ধরে জেলা সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলার ছোট্ট ৮টি কক্ষে অস্থায়ীভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। পাঠদানের নূন্যতম সুয়োগ সুবিধা না থাকায়, ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মঝে। তবে অধ্যক্ষ জানালেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসের স্থান ঠিক হয়েছে। তিন বছরের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে।

গেলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয় সরকার। এরপরই দ্রুত শুরু হয় কলেজের শিক্ষক নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়া। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় তড়িঘড়ি করে ২৫০ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার কিছু অংশে অস্থায়ী ভিত্তিতে শুরু হয় কলেজের কার্যক্রম। প্রথম ব্যাচে ভর্তি হয় ৩৮ জন মেয়ে ও ১২ জন ছেলে। দুটি শিক্ষাবর্ষ মিলে এখন ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১শ। খেলাধুলার সুযোগ তো দূরের কথা, ছেলে-মেয়েদের জন্য নেই কমনরুমও। নানা সমস্যার মধ্য দিয়েই চলছে কলেজের পাঠদান।

অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পাঠদানে চলছে দাবি করে শিক্ষকরা বলছেন, তবে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকট।

আর অধ্যক্ষ জানান, নতুন ক্যাম্পাসের জন্য চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ৩২ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ হলে, শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সুবিধা পাবে।

দ্রুত চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হোক-এমনটাই চাওয়া সবার।