শত সীমাবদ্ধতা এবং সংকটে মুখেও ঘুড়ে দাঁড়াবার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০২:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
শত সীমাবদ্ধতা এবং সংকটে মুখেও ঘুড়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যাণ্ড ফিন্যান্সসিয়াল সার্ভিস লিমিটেড। এরই মাঝে ৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করে আমানতকারীদের ফিরিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব জানান হাইকোর্টের আদেশে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন আই খান। অর্থ লোপাটকারিদের নেপথ্য কারিগরদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে সাবেক এই সচিবের প্রশ্ন, পিকে হালদারকে বিদেশে পালাতে যারা সহায়তা করেছে কেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না।
হাসিখুশী জীবনের পুরো নিশ্চয়তায়…এমন শ্লোগান দিয়ে ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যাণ্ড ফিন্যান্সসিয়াল সার্ভিস লিমিটেড। ২০১৫ পর্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানেই ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালে পি কে হালদার শেয়ার কিনে প্রতিষ্ঠানটি দখল করার পর থেকেই শুরু হয় অধ:পতন। ৩০টি প্রতিষ্ঠানের নামে বের করে নেওয়া ২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকার সুবিধাভোগী ছিলেন খোদ পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা। পরিস্থিতি উত্তোরণে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদকে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে বাঁচানো সম্ভব নয়, এমন মত দিয়ে গেল ১ মার্চ পদত্যাগ করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সংকট থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে টেনে তুলতে হাইকোর্ট দায়িত্ব দেয় সাবেক সচিব এন আই খানকে।
গেল ১ জুন থেকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এর দায়িত্ব গ্রহণের পর কেমন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছেন জানতে চাই তার কাছে। এসময় অর্থ লোপাটকারিদের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন অতি সম্প্রতি আলোচনায় আসা এই দক্ষ আমলা। সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ঘুরে দাড়াতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি। যাদের সহায়তায় পিকে হালদার বিদেশে পালিয়েছে, তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের এই কিউরেটর।