১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

শতভাগ পরিবারে খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের মাধ্যমে নজির স্থাপন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়নের শতভাগ পরিবারে খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের মাধ্যমে নজির স্থাপন করেছে একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা। আর পুরো এই প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করেছেন একজন ইউপি চেয়ারম্যান। গ্রামবাসী জানান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে থাকার ন্যূনতম উপকরণ পেয়েই খুশি তারা। আর উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের নিশ্চয়তা দিলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও যে সরকারী নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন, ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নটি তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরের চিত্র এটি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম, পুলিশ এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও মানুষকে ঘরবন্দী করতে বা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হিমসিম খাচ্ছে।

এই বাস্তবতায় চট্টগ্রাম শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দুরে ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় লেলাং ইউনিয়ন। বিকেলের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের ছোট্ট বাজারটি। পথে-ঘাটেও মানুষের দেখা নেই। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বেরোন না কেউ। এক কথায় করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা শতভাগ মেনে চলছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা।

এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় একদল তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে।

করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে এই ইউনিয়নের শাহনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অর্থ সংগ্রহ করে সবার মাঝে সুষমভাবে খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেন। পরে এই উদ্যোগে সহযোগী হন লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দিনের আলোতে প্যাকেট করে রাতের আধারে তা পৌছে দেন ধনি গরিব নির্বিশেষে সবার ঘরে ঘরে। আর এতেই এসেছে সাফল্য।

করোনা আতঙ্গে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ার এই সময়ে খেয়ে পড়ে বেচে থাকার সামান্য উপকরণ পেয়েই খুশি এলাকাবাসীও।

খাদ্র সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জিবানুনাশক স্প্রে ও মাইকিং করে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে গ্রামবাসীকে সচেতন করে তুলতে চেষ্টাও চালাচ্ছেন তারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শতভাগ পরিবারে খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের মাধ্যমে নজির স্থাপন

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়নের শতভাগ পরিবারে খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের মাধ্যমে নজির স্থাপন করেছে একটি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা। আর পুরো এই প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করেছেন একজন ইউপি চেয়ারম্যান। গ্রামবাসী জানান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে থাকার ন্যূনতম উপকরণ পেয়েই খুশি তারা। আর উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্য সামগ্রীর সুষম বন্টনের নিশ্চয়তা দিলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও যে সরকারী নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন, ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নটি তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরের চিত্র এটি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টিম, পুলিশ এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও মানুষকে ঘরবন্দী করতে বা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হিমসিম খাচ্ছে।

এই বাস্তবতায় চট্টগ্রাম শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দুরে ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় লেলাং ইউনিয়ন। বিকেলের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের ছোট্ট বাজারটি। পথে-ঘাটেও মানুষের দেখা নেই। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বেরোন না কেউ। এক কথায় করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা শতভাগ মেনে চলছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা।

এটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় একদল তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে।

করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে এই ইউনিয়নের শাহনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অর্থ সংগ্রহ করে সবার মাঝে সুষমভাবে খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেন। পরে এই উদ্যোগে সহযোগী হন লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দিনের আলোতে প্যাকেট করে রাতের আধারে তা পৌছে দেন ধনি গরিব নির্বিশেষে সবার ঘরে ঘরে। আর এতেই এসেছে সাফল্য।

করোনা আতঙ্গে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ার এই সময়ে খেয়ে পড়ে বেচে থাকার সামান্য উপকরণ পেয়েই খুশি এলাকাবাসীও।

খাদ্র সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জিবানুনাশক স্প্রে ও মাইকিং করে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে গ্রামবাসীকে সচেতন করে তুলতে চেষ্টাও চালাচ্ছেন তারা।