রমজানের আগেই দ্রুত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে নিত্য পণ্যের দাম
- আপডেট সময় : ০২:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
এবার রমজান আসার আগেই দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তেল, চিনি, ডালসহ অতি প্রয়োজনীয় সকল প্রকার নিত্য পণ্যের দাম।বাড়তি দামের তালিকায় রয়েছে চালসহ নতুন ওঠা সবজির দাম। চাষের মাছ খানিকটা কম হলেও ইলিশসহ সবরকম নদীর মাছের দাম অত্যন্ত চড়া।ব্রয়লারসহ লাগামহীন সবধরণের মুরগীর দাম।গরু ও খাসির মাংসের দাম নির্ধারিত হলেও মাংসের মাণ নিয়ে সংশয় রয়েছে ক্রেতাদের। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ক্রমাগত উর্ধ্বমূখী হওয়ায় সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের সাধারণ মানুষ ।
কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। রমজান উপলক্ষে মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে যখন নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে দেয়া হয়, তখন বাংলাদেশের বাজারে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। রমজান মাস যেন এখানে বাড়তি ব্যবসার মৌসুম। প্রতিবছর এই সময়ে নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করা হয়। এবছরও এর রোষানল থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা মানুষ। রমজান আসার আগেই হুহু করে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে অতি প্রয়োজনীয় সকল নিত্য পণ্যের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায় বোতলজাত ভোজ্য তেলের লিটার এখন ১৪০ টাকা, দুইমাস আগেও যা ছিলো ১০৭ থেকে ১১০ টাকা। বেড়েছে চিনি,আটা,ডাল,পিয়াজসহ বেশীরভাগ পণ্যের দাম।চাহিদা বেড়েছে চিড়া, গুড়সহ ইফতারি পণ্যের।দামও বাড়তি বলে জানান,বিক্রেতারা।
বাজারে গ্রীস্মকালিন নতুন সবজি সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশীই বললেন বিক্রেতারা। তবে সর্বোচ্চ দামের তালিকায় রয়েছে লেবু, প্রকার ভেদে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০-১’শ টাকায়।ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে ১০ টাকা, এছাড়া সবধরনের মুরগীর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।
পর্যপ্ত সরবরহ থাকার পরেও ইলিশসহ সব মাছের মাছের দাম বাড়তি। গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতিকেজি ৫৮০ থেকে ৬০০টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯শ টাকা পর্যন্ত। তবে মাংসের মাণ নিয়ে সংশয় রয়েছে ক্রেতাদের।পণ্যরে দর নিয়ে নিয়মিত অসন্তোষ প্রকাশ করে কোন সুরাহা না পেয়ে সাধারণ মানুষ যেন ক্লান্ত। বাজার মনিটরিংয়ের নামে মাঝেমধ্যে সাইনবোর্ডে মূল্য ঝুলানো ছাড়া আর কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।