০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

যশোরের ভবদহ বিলে ২০টি সেচ পাম্প লাগিয়েও পানি নিষ্কাষণ করা যাচ্ছে না

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০টি পাম্প লাগিয়ে–রাত-দিন সেচ দিয়েও, যশোরের দুঃখ ভবদহ বিলের পানি নিষ্কাষণ করা যাচ্ছে না। সেচ দিয়ে বাইরে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই পানির বড় অংশ ফিরে আসছে ভেতরে। এতে করে জলাবদ্ধতা মুক্ত হওয়ার এই আয়োজন বিফলে যাচ্ছে। সেচ দিতে বিদ্যুৎ খরচ, শ্রমিকের মজুরিসহ ব্যয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার ২৭টি বিলের পানি নিষ্কাষণের জন্য, প্রায় ৪১বছর আগে নির্মাণ করা হয় ২১ ভেন্টের ভবদহ স্লুইচ গেট। শুরুতে বেশ কয়েক বছর এর সুফল পাওয়া যায়। পরে, ভবদহের সাথে যুক্ত মুক্তেশ্বরী, হরি ও টেকা নদী নাব্য হারানোয় পানি নিষ্কাষণ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রতি বর্ষায় তিন উপজেলার অনেক এলাকা বছরের প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধ থাকে। এ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু, এতে প্রভাবশালীরা বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে আগেরটির পাশাপাশি আরেকটি ছোট স্লুইচ গেট মিলে ২০টি বড় পাম্প দিয়ে সেচ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি। সেচ দেয়া পানি হরি ও গ্যাংরাইল নদী হয়ে সাগরে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু, সেচ দেয়ার আগে গেটগুলো সিল না করে কোন রকমে জিও ব্যাগ ও পলিথিন দিয়ে গেটের মুখ বন্ধ করা হয়। এ কারণে সেচ দেয়া পানির বড় অংশ ওই গেটের মুখ দিয়ে পুনরায় ভেতরে ফিরে যাচ্ছে। এতে মাসের পর মাস টাকার অপচয় হলেও, জলাবদ্ধতা দূর হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ স্বীকার করে বিএডিসি জানায়, কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

লিকেজ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করে, পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সেচের পানি বাঁধামুক্ত করতে হরি নদীতে মাছ ধরার নেট অপসারণ জরুরি বলে মনে করে ভুক্তভোগীরা।

ফুটো পুরোপুরি বন্ধ করে সেচ দেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোরের ভবদহ বিলে ২০টি সেচ পাম্প লাগিয়েও পানি নিষ্কাষণ করা যাচ্ছে না

আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

২০টি পাম্প লাগিয়ে–রাত-দিন সেচ দিয়েও, যশোরের দুঃখ ভবদহ বিলের পানি নিষ্কাষণ করা যাচ্ছে না। সেচ দিয়ে বাইরে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই পানির বড় অংশ ফিরে আসছে ভেতরে। এতে করে জলাবদ্ধতা মুক্ত হওয়ার এই আয়োজন বিফলে যাচ্ছে। সেচ দিতে বিদ্যুৎ খরচ, শ্রমিকের মজুরিসহ ব্যয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

যশোরের মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার ২৭টি বিলের পানি নিষ্কাষণের জন্য, প্রায় ৪১বছর আগে নির্মাণ করা হয় ২১ ভেন্টের ভবদহ স্লুইচ গেট। শুরুতে বেশ কয়েক বছর এর সুফল পাওয়া যায়। পরে, ভবদহের সাথে যুক্ত মুক্তেশ্বরী, হরি ও টেকা নদী নাব্য হারানোয় পানি নিষ্কাষণ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এখন প্রতি বর্ষায় তিন উপজেলার অনেক এলাকা বছরের প্রায় পাঁচ মাস জলাবদ্ধ থাকে। এ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু, এতে প্রভাবশালীরা বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে আগেরটির পাশাপাশি আরেকটি ছোট স্লুইচ গেট মিলে ২০টি বড় পাম্প দিয়ে সেচ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি। সেচ দেয়া পানি হরি ও গ্যাংরাইল নদী হয়ে সাগরে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু, সেচ দেয়ার আগে গেটগুলো সিল না করে কোন রকমে জিও ব্যাগ ও পলিথিন দিয়ে গেটের মুখ বন্ধ করা হয়। এ কারণে সেচ দেয়া পানির বড় অংশ ওই গেটের মুখ দিয়ে পুনরায় ভেতরে ফিরে যাচ্ছে। এতে মাসের পর মাস টাকার অপচয় হলেও, জলাবদ্ধতা দূর হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ স্বীকার করে বিএডিসি জানায়, কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

লিকেজ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করে, পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সেচের পানি বাঁধামুক্ত করতে হরি নদীতে মাছ ধরার নেট অপসারণ জরুরি বলে মনে করে ভুক্তভোগীরা।

ফুটো পুরোপুরি বন্ধ করে সেচ দেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।